• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-৫-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:৪৩
  • ৫৪ বার দেখা হয়েছে

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাউশির ৭ স্তরের নির্দেশনা

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাউশির ৭ স্তরের নির্দেশনা

শিক্ষা প্রতিবেদক ►

চলতি বছর থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে শুরু থেকেই অন্ধকারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দফা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিলেও পরিষ্কার হয়নি। ফলে নানা ধরনের প্রশ্ন ছিল তাদের মধ্যে।

এবার একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে। এসব নির্দেশনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কাজ কি হবে, তার পূর্ণাঙ্গ একটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার পর নতুন কারিকুলাম নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা নতুন নির্দেশনায় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

এ নির্দেশনা সব জেলা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে পাঠানো হয়েছে। যথাযথভাবে এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণি শিক্ষকদের করণীয়

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শ্রেণি শিক্ষকদের দেওয়া নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিচার্স গাইড ও পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণসহ শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষককেন্দ্রিক পদ্ধতি পরিহার করে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে প্রচলিত ভূমিকার ঊর্ধ্বে গিয়ে শ্রেণিকে শিক্ষককে হয়ে উঠতে হবে সহ-শিক্ষার্থী। হোম ভিজিট ও উঠান বৈঠক করতে হবে।

প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও অনুসন্ধানমূলক কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ডায়েরি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের জন্য সহয়তামূলক একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন শ্রেণি শিক্ষকরা, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।

শ্রেণি শিক্ষক যেসব সমস্যা চিহ্নিত করবেন, তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাপ্তাহিক সভায় আলোচনা করা ও সমস্যা সমাধানের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

স্লো লার্নার ও অ্যাডভান্সড লার্নার চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাদের শিখন পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। মূল্যায়নের মূলনীতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে ও মূল্যায়নের ধারাবাহিক রেকর্ড সংরণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দলগত কাজসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে নিরপেতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা। শ্রেণি কে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষককে মূলত ফ্যাসিলেটরের ভূমিকা পালন করতে হবে। শ্রেণি কে শিক্ষক-শিক্ষর্থীর মধ্যে কারিকুলাম সংশ্লিষ্ট বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।


 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়