• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৭-৫-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:১৪
  • ২৪৭ বার দেখা হয়েছে

কৃষ্ণচূড়ার রূপের আগুনে হৃদয় পুড়ছে পথিকের

কৃষ্ণচূড়ার রূপের আগুনে হৃদয় পুড়ছে পথিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

বছরের উষ্ণতম কাল ‘গ্রীষ্ম’। এ ঋতুর শুরু থেকে উত্তপ্ত সূর্যের তাপ। এরই মধ্যে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে নানা রঙে সেজেছে গ্রামবাংলার প্রকৃতি। আম, কাঁঠাল লিচু, লেবুসহ গাছে গাছে ধরেছে বাহারি রঙের ফুল ও ফল। এরই ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। এ গাছের রক্তলাল ফুলগুলো প্রকৃতি প্রেমিদের ছুঁয়ে দিচ্ছে। পথের ধারে এই ফুলের রূপের আগুনে পুড়ছে যেন পথিকের হৃদয়। 

সম্প্রতি গাইবান্ধা-মাদারগঞ্জ সড়কের সাদুল্লাপুর শহর তলীর তরফ বাজিত এলাকার মোন্নাফ মিয়ার বাড়ির সংলগ্ন স্থানে দেখা মেলে ফুটন্ত এই কৃষ্ণচূড়ার গাছটির। অর্ধশতবর্ষী এ গাছের ডালে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে থোকা থোকা রক্তিম ফুল। রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলের মৃদু বাতাসে বেশ কিছু ফুল ঝড়ে পড়তেও দেখা গেছে মাটিতে। কেউ কেউ শখের বশে সেইসব ফুল কুড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকে ক্ষণিকের জন্য দাঁড়িয়ে এই ফুলের মুগ্ধতা উপভোগ করছেন। 

এ সময় সাহিদা খাতুন মুন্নী নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, গাইবান্ধা-মাদারগঞ্জ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। সম্প্রতি কৃষ্ণচূড়া ওই গাছটির দিকে তাকালে মনে প্রশান্তি আসে। গ্রীষ্মের এই তাপদাহে থোকা থোকা ফুলগুলোর দিকে তাকালে খানিকটা প্রাণ জুড়ায়। গাছটির কাছাকাছি পৌঁছিলে একেবারই মুগ্ধ হয়ে যাই। যেন প্রকৃতির রূপে নিমিষে হারিয়ে গেছি। 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয়ের রতন লাল সাহা বলেন, ওষুধি হিসেবে কৃষ্ণচূড়ার বহুত গুণাগুণ রয়েছে। এর বাকল দিয়ে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কাষ্ঠকাঠিন্যেসহ নানা রোগ নিরাময় হয়। এমন গাছ প্রত্যেক বাড়িতে রোপন করা উচিৎ। 

গাইবান্ধা বন বিভাগ কর্মকর্তা এএইচএম শরিফুল ইসলাম বলেন, আগে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। এর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হত নানা ধরনের আসবাপত্র। যা ছিল টেকসই-মজবুত। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তৈরি আসবাপত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন কাঠ জাতের গাছের কদর কমেছে। সেই সাথে কৃষ্ণচূড়া গাছেরও চাহিদা কমে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে এ গাছ।
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়