• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৭-৬-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:১৬
  • ২০ বার দেখা হয়েছে

৩৬ জেলার চামড়া আমদানির সম্ভাবনার আশা করছে নাটোরের আড়তেগুলো

৩৬ জেলার চামড়া আমদানির সম্ভাবনার আশা করছে নাটোরের আড়তেগুলো

মাধুকর ডেস্ক

৩৬ জেলার চামড়া আমদানির সম্ভাবনার আশা করছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চকবৈদ্যনাথ চামড়া ব্যবসায়ী নেতারা। এছাড়া দেশের মোট চাহিদার ৫০ ভাগ চামড়া এই চকবৈদ্যনাথ আড়ত থেকে ঢাকার ট্যানারিগুলোতে পাঠানো হবে। রোববার (১৬ জুন) বিকেলে জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম হিরু এমনই ইঙ্গিত দিয়ে এসব তথ্য জানান।

গত দুবছর ধরে নগদ টাকায় চামড়া বিক্রি হওয়ায় গত ঈদুল আজহায় নাটোর আড়তে প্রায় ৪ লাখ পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছিল। তবে এবার ৫ টাকা দাম বৃদ্ধি করে ৫০-৫৫ টাকায় চামড়া কেনার ঘোষণায় চামড়ার সরবরাহ আরও বাড়বে। পাশাপাশি গত বছরের মতোই নগদ টাকায় চামড়া বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের। এবার ৫ লাখ পিস চামড়া বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম হিরু বলেন, নাটোরের চকবৈদ্যনাথে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক আড়ত রয়েছে। এসব আড়তের ব্যবসায়ীরা আজ সোমবার (১৭ জুন) কোরবানির পশুর চামড়া কেনার জন্য মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধোয়া মোছা, রঙ করা থেকে শুরু করে সব কাজ সম্পন্ন করে আড়তগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ী, ঢাকার ট্যানারি মালিকরাও যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গ্রামাঞ্চল থেকে চামড়া সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এবারও বিগত বছরের মতোই নগদ টাকায় চামড়া বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা আড়তদারদের। তবে লবণের দাম বৃদ্ধি ও পশুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) কারণে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে আড়তদারদের মধ্যে কিছুটা সংশয় রয়েছে।

তারমতে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩৬টি জেলার চামড়া এখানে আমদানি হবে। সেই সঙ্গে নগদে চামড়া বেচাকেনা করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা। শুধুমাত্র কোরবানি ঈদের সময়েই দেশের মোট চামড়ার ৫০ ভাগ চামড়া ঢাকার ট্যানারিগুলোতে চকবৈদ্যনাথ আড়ত থেকে পাঠানো হয়। তবে এবার ব্যবসায়ীদের ভাবাচ্ছেন লবণের মাত্রাতিরিক্ত দাম এবং পশুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ। ফলে চামড়ার উপরিভাগে ফেসকা জাতীয় দাগ সৃষ্টি হয়ে তার বাজারমূল্য কমে যায়।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চকবৈদ্যনাথ চামড়া আড়তে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে টহলসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের দিন থেকে প্রায় সপ্তাহব্যাপী পুরো চামড়া আড়ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। জাল টাকা প্রতিরোধেও ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কেউ যাতে কোনো ধরনের হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য পুলিশি নজরদারি থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়