মাঠ দিবসে ট্যাংকে মাছ চাষে সফলতার গল্প শোনালেন উদ্যোক্তা সেলিম মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক►

গ্রামীণ প্রান্তিক পর্যায়ে ঘরে বসেই মাছ চাষ এখন স্বপ্ন নয়—বাস্তব। এমনটাই করে দেখিয়েছেন উদ্যোক্তা সেলিম মিয়া। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে পরিচালিত ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ (আরএমটিপি)’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙ্গিনায় ট্যাংকে মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলের গল্প শুনিয়েছেন সেলিম মিয়া।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে তিনি নিজের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।

সেলিম মিয়া জানান, আরএমটিপি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়ে তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় ট্যাংক তৈরি করে তেলাপিয়া মাছ চাষ শুরু করেন। আধুনিক পদ্ধতি, সঠিক খাবার ও নিয়মিত পানি ব্যবস্থাপনার কারণে খুব অল্প সময়ে ভালো ফলাফল পান তিনি। বর্তমানে তার ট্যাংক থেকে প্রতি চক্রে কয়েক মণ মাছ উৎপাদন হয়, যা বিক্রি করে তিনি নিয়মিত লাভবান হচ্ছেন।

তিনি বলেন, “আগে ভাবতাম মাছ চাষ মানে বড় পুকুর আর অনেক টাকা লাগে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, ঘরের আঙিনার ছোট জায়গাতেও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ সম্ভব। এতে পরিবারে পুষ্টির চাহিদা মিটছে, পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ও হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, সেলিম মিয়ার মতো শতাধিক উদ্যোক্তা এখন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি এসেছে এবং নিরাপদ মাছ উৎপাদনের ধারণা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফুলছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আঁখি সরকার। মৎস চাষী সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আরএমটিপি প্রকল্পের এভিসিএফ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আরএমটিপি প্রকল্পের ভিসিএফ মোখলেসুর রহমান, এলএসপি আশরাফুল আলম, রফক্রপ কোম্পানীর প্রতিনিধি আরিফ সরকার, উদ্যোক্তা শিপন মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও কৃষক, মৎস্যচাষি, প্রকল্পকর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, আরএমটিপি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এসকেএস ফাউন্ডেশন, সহযোগিতায় রয়েছে পিকেএসএফ, এবং অর্থায়ন করছে আইএফএড (IFAD) ও ডেনমার্ক দূতাবাস (Embassy of Denmark)।