নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক আইয়ুব আলীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সংগঠন দুটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধাসহ সারাদেশে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনাই বেশি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় যে, সমাজ একজন বৃদ্ধার নিরাপত্তা দিতে পারে না। সে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকবে। এর মতো কষ্ট, যন্ত্রনা-লাঞ্ছনা আর কি হতে পারে? যে সমাজ একজন শিশু থেকে এমনকি বৃদ্ধার পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তাকে কি আমরা সভ্য সমাজ বলতে পারি? এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।
ধর্ষণের ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষক আইয়ুব আলীকে এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারেনি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, গাইবান্ধা নুরুল হক মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিশাত পারভীন বর্না, নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহেলা সিদ্দিকা, আফরোজা সুলতানা, ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সংগঠক মোখলেছুর রহমান, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নুল ইসলাম জয়, সদরের দাড়িয়াপুর অঞ্চলের সভাপতি ধনঞ্জয় কুমার, সাধারণ সম্পাদক কল্লোল বর্মন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের একটি গ্রামে মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। এ ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আইয়ুব আলী (৪৫)।