মাধুকর ডেস্ক►
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘আমরণ অনশন’ ও ‘শিক্ষক সমাবেশ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘আমরণ অনশন’ ও ‘শিক্ষক সমাবেশ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এসব কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আগামীকাল থেকে দেশের কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বা প্রশাসনিক কাজ করবেন না। পরীক্ষার ডিউটি, অফিস ফাইল, সবকিছুই বন্ধ থাকবে।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। তার প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই। আমাদের আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে জাতীয়করণের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেবে।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে সরকারের অর্থ বিভাগ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে। আর এ সুবিধা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
রোববার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মরিয়ম মিতুর সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর প্রতিবাদ এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তারা সচিবালয়ের দিকে এগোলে হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। গত বুধবারও একই দাবিতে বেলা আড়াইটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। পরে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় থেকে সরে যান তারা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসে শিক্ষকদের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার তাদের জানান, বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। উপদেষ্টার এমন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে ওই দিনই আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ভাষ্য, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণি-কার্যক্রমে ফিরবেন না।
তাদের তিন দফা দাবি হলো মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা প্রদান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকায় উন্নীত করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা।
তথ্যসূত্র: দৈনিক শিক্ষা