Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২০-৪-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:০১
  • ৪৮ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি আজও মেরামত হয়নি

সুন্দরগঞ্জে স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি আজও মেরামত হয়নি

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

নির্মাণের নয় মাসের মাথায় গত বছরের অক্টোবর মাসে বন্যার স্রোতে ভেসে যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজার খেয়াঘাটের তিস্তার শাখানদীতে অপরিকল্পিতভাবে কংক্রিটের খুঁটির ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি । দীর্ঘ সাত মাস অতিবাহিত হলে আজও সেতুটি মোরামত বা পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। 

সেই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চরবাসীর কষ্ট দূর করার জন্য ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত বা পুনঃনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। সে কারণে উপজেলার বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীর ভোগান্তি থেকে মুক্তির আশা অধরাই থেকে গেল। আর মাত্র এক মাস পরে নদীতে পানি হলে যাতায়াতে নৌকাই হবে তাদের একমাত্র ভরসা। 

সেই সময়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেতুটি নির্মাণের জন্য বর্তমান প্রশাসনের নিকট জোর দাবি তুলে ধরা হয়েছে বলেন বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ । কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ বা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেননি প্রশাসন। আগামি দুই মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ করা না হলে ফের দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার বাসিন্দাকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হবে।

চরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের এডিবির অর্থ হতে কংক্রিটের খুঁটির উপর কাঁেঠর সেতু নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এ জন্য ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠে সেতুটি নির্মাণের। গত বছরের ৩০ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদারের টাকা ছাড় করানো হয়। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতৃটি নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগীর খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী।

মাত্র নয় মাসের মাথায় সরকারের ৩০ লাখ টাকা তিস্তার স্রোতে ভেসে গেল- উল্লেখ করে বেলকা বাজরের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়রে ২০ হাজার চরবাসির র্দীর্ঘ দিনের চাওয়া পাওয়ার এখন কি হবে? এ দায়  কার? এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা  করেন তারা।

জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেতুটি নির্মাণের জোর দাবি জানান বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া। তিনি বলেন সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশী হয়েছিল। কিন্তু বিধিবাম, উদ্বোধন না হতেই সেই সেতুটি ভেসে গেল তিস্তার স্রোতে। এখন আবারও সেই নৌকায় হবে কি? চরবাসির একমাত্র ভরসা। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতি ও অনিয়মের কারনে সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে, এর জন্য কেন? জনগনকে খেশারত দিতে হবে বলেন হরিপুর চরের স্কুল শিক্ষক আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি দ্রুত সেতুটি পুনঃনির্মাণের জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর পুনঃরায় কাঠের সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এলজিইডির নেই।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি সবে মাত্র এই উপজেলায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি তার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad