Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-১-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:০৮
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে ১৮ মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

সুন্দরগঞ্জে ১৮ মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

দীর্ঘ প্রায় ১৮মাস ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ। মাসে গড়ে শতাধিক রোগী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন। সেই সাথে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সচল ও একটি অচল  অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ড্রাইভার না থাকায় রোগী সরবরাহ বন্ধ রয়েছে দাবি কর্তপক্ষের। 

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ জুলাই অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো. আব্দুস সালেক মিয়ার বদলী হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত   নতুন ড্রাইভার যোগ না দেয়ায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবাবন্ধ রয়েছে। অধিক ভাড়া দিয়ে বেসরকারি মালিকানা অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন সেবা বঞ্চিতরা। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সুন্দরগঞ্জ থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে ভাড়া দিতে হত ১ হাজার ১২০ টাকা। অথচ বেসরকারি ও মালিকা এম্বুলেন্সে  ভাড়া দিতে হচ্ছে ২ হতে ৩ হাজার টাকা। 

স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. জোবাইদুর রহমানের ভাষ্য দীর্ঘ দেড় বছর ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স দু’টি পড়ে রয়েছে, দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ হতে ৫ রোগী এখান থেকে রংপুরে স্থানান্তর করে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় অধিক ভাড়া দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে রোগী রংপুরে নিয়ে যায় রোগীর স্বজনরা। এই যদি হয় একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে। ছাড়া তিনি আরও বলেন ৬ মাস না যেতেই বদলী হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বর্তমানে ৪ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগী মো. সেলিম মিয়ার  ভাষ্য, এখানকার ল্যাট্রিনগুলো ব্যবহার করা যায় না। পানিয় জলের অভাব, নলকুপগুলো নষ্ট, খাবার মান একবারেই খারাপ। প্রায় সব ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়। তিনি আরও বলেন দুইদিন চিকিৎসা করার পর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায়  অধিক ভাড়া দিয়ে মালিকানা অ্যাম্বুলেন্সে করে তার ভাইকে রংপুরে পাঠিয়েছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাক বলেন, তিনি গত সপ্তাহে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারসহ বেশ কিছু সংখ্যক মেডিকেল অফিসাররের পদ শুণ্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি বলেন তাঁর ড্রাইভার মাঝে মাঝে অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছে। 

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাক্তার কার্নিজ সাবিহার ভাষ্য, সারা দেশে এম্বুলেন্স ড্রাইভার সংকট। এখানে সিভিল সার্জনের কিছু করার নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad