নিজস্ব প্রতিবেদক►
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দিদের মুক্তিসহ তিনদফা দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হয়েছে।
শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে ডিবি রোডে আজ (রবিবার, ১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা’র ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের স্বজনেরা অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে সংহতি জানান।
তাদের তিনদফা দাবি হলো: পিলখানাসহ সারাদেশে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল; কারাবন্দিদের মুক্তি এবং পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও তার দোসরদের চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজানো হয়। সেনা কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যার পর নির্দোষ সৈনিকদের চাকুরিচ্যুত ও সাজা দিয়ে লোক দেখানো তদন্তের নামে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের নির্দোষ দাবি করে বক্তারা বলেন, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যেসব বিডিআর সদস্য জেলবন্দী আছেন তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ২ এর (ঙ) ধারা অবশ্যই বাদ দেওয়ার কথাও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা নেতা মনজুর আলম মিঠু, অ্যাডভোকেট মোস্তফা মনিরুজ্জামান, ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা’র সমন্বয়ক সিপাহি ভিএম আব্দুর রাজ্জাক, হাবিলদার আফছার আলী, হাবিলদার ওসমান গণি, বিডিআর জোবায়ের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আসাদুল ইসলাম, মাহফুজ আলম প্রমুখ।