জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা►
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো সরকারি জায়গার অন্তত ২০ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরাঞ্চলের হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তরদীঘলকান্দি গ্রামে।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলার ও ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আব্দুল মজিদ।
এ ঘটনায় গাছ উদ্ধারসহ অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তি চেয়ে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয়রা।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাকাবাসীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি মৌজায় ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত দাগ নং- ৫৭, জমি ৫৪.৭১ একর, উক্ত দাগে আনুমানিক বয়স ৩০ আগে সরকারি ভাবে ৪০/৪৫ টি রেইট্রি গাছ রোপন করা হয় । বর্তমানে প্রতিটি গাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০,০০০/- হতে ৬৫,০০০/- টাকা । উক্ত গাছ গুলি মূল্যবান হওয়ায় দীঘলকান্দি মৌজার পার্শ¦বর্তী ফুলছড়ি উপজেলাধীন দেলুয়াবাড়ি চরের বাসিন্দা ও ফুলছড়ি ইউনয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। তিনি দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বন বিভাগ কিংবা সরকারি কর্মকর্তাগণের অনুমতি ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকায় প্রভাবখাটিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা মূল্যের কাঠের গাছ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন ।
এসময় স্থানীয়রা বাঁধা নিশেষ করতে গেলে তাদের নানা ভাবে ভয় প্রদর্শন করেন প্রভাবশালী আব্দুল মজিদের লোকজন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ । পরে স্থানীয় লোকজন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকিট লিখিত এবং ইনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্বরত উপসহকারি ভুমি কর্মকতার নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান, গ্রামবাসি বিক্রি করা গাছ উদ্ধারসহ দোষিদের শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সাথে কথা হলে তিনি গাছগুলো নিজের রেডভুক্ত জমির এবং দেলুয়াবাড়ি মৌজার বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মাহবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সরকারি গাছ বিক্রি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি গাছের জায়গাটি হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর দীঘলকান্দি মৌজার। তাছাড়া ওই সাবেক চেয়ারম্যান গাছের জায়গা নিজের বলে দাবি করলেও তিনি তার স্বপক্ষে জমির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী মৌজার বাসিন্দা হওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবখাটিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি মূল্যবান গাছগুলো নিজেন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। এখন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এসব মুল্যবান গাছ কর্তনের সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ঘটনায় সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমান হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।