Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-৯-২০২৪, সময়ঃ দুপুর ১২:০০
  • ৮৫ বার দেখা হয়েছে

সাঘাটায় ব্রিজের উপর কাঠের সাঁকো, ঝুঁকিতে ৮ গ্রামের বাসিন্দা

সাঘাটায় ব্রিজের উপর কাঠের সাঁকো, ঝুঁকিতে ৮ গ্রামের বাসিন্দা

জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া-জুমারবাড়ী রাস্তারওপর নির্মিত পূর্বআমদিরপাড়া ব্রিজটি দেবে গিয়ে জনসাধারণের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা তরিঘড়িভাবে নিজেদের উদ্যোগে দেবে যাওয়ায় ব্রিজের ওপর কাঠেরসাঁকো তৈরি করে চলাচল শুরু  করেন।

সাঁকোর ওপর দিয়ে চলছে বাইক, ইজিবাইক, অটোরিকশা ও অটোভ্যান। যেকোনো মুহূর্তে এ কাঠের সাঁকোটিও ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের  দুর্ঘটনা। বিকল্প পথ না থাকায় তবুও প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলচল করতে হচ্ছে অন্তত ৮ গ্রামের জনসাধারণকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ সড়কটি উপজেলার হলদিয়া ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ৮ গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র পথ। গত ১৯৯৮ সালে এ সড়কটির পূর্বআমীদরপাড়া এলাকায় খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ১৯ মিটার দৈর্ঘ্য এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় । সেসময় নির্মাণ কাজে  নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার ও দায়সারা কাজ করায় ব্রিজটি আল্প সময়ের মধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়ে প্রায় ৫ বছর আগে। 

সংস্কার না করায় চলতিবছর বন্যার সময় পানির স্রোতে  ব্রিজটি দেবে ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বেড়া,গারামারা, দক্ষিণ দীঘলকান্দি, উত্তরদীঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব আমদিরপাড়াসহ অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এবার বন্যার পানির স্রোসে ব্রিজের পূর্ব প্রান্তের নিচ থেকে মাটি সরে গভীর হওয়ায় ব্রিজটির পূর্ব  মাথা দেবে ভেঙে পড়ে। ফলে এ পথে জনসাধারণের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে স্থানীরা বাধ্য হয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর একটি কাঠেরসাঁকো নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে চলাচল শুরু করেন। 

স্থানীয় অটোভ্যান চালক আজিজার রহমান বলেন, যাত্রী বা মাল বোঝাই ভ্যান নিয়ে কাঠেরসাঁকো পার হওয়া যায় না। যাত্রী নেমে পারাপার হতে হয়। মাল বোঝাই ভ্যান লোকজন দিয়ে ঠেলা-ঠেলি করে ভয় নিয়ে পার হতে হয়। 

গোবেন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান বলেন, আট থেকে নয়টি গ্রামের শত শত জনসাধারণ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিদিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলাচল করে। এলাকার ব্যবসায়ীরা মালামাল আনা নেয়া ছাড়াও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শস্য বাজারে বিক্রির জন্য গ্রামীণ যানবাহনে করে নিয়ে যায়। জনগুরুত্বপুর্ণ এ রাস্তায় ভেঙে পড়া ব্রিজের ওপর যে কাঠেরসাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে তা গ্রামীণ যানবাহন চলাচলের জন্য যথেষ্ট নয়। যানবাহনের চাপে যে কোনো মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা না হলে আরও জনদুর্ভোগ বাড়বে।       

হলদিয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার বিয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগতা করেছি। পাশাপশি  জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর অস্থায়ী কাঠেরসাঁকো তৈরি করে দিয়েছি। কেননা ব্রিজটি জুমারবাড়ী ইউনিয়নের এলাকার মধ্যে হলেও আমার ইউনিয়নের জনসাধরণ এ রাস্তায় চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় আমার ইউনিয়নের অন্তত ৭ গ্রামের জনসাধাণ দুর্ভোগে পড়েছে।

 সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) নয়ন রায় বলেন, এই মুহূর্তে নতুন করে ব্রিজ তৈরি করার মতো বাজেট আমাদের নেই। তবে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দপ্তরে ইতোমধ্যে কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad