নিজস্ব প্রতিবেদক►
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গত রবিবারের বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ অ্যাখা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ (সোমবার, ১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ১নং রেলগেটে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, ‘কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আমাদের আঘাত করেছে। আজকে আমাদের আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে অতিদ্রুত সংসদে আইন তুলে কোটা সংস্কার পাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা কেন্দ্রের সাথে মিল রেখে গাইবান্ধায় আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
সংগঠনের জেলার সহ-সমন্বয়ক জয়নুল ইসলাম বলেন,‘গতকাল আমাদের পদযাত্রায় ন্যাক্কারজনকভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এসব হামলার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে ঢাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা পুলিশের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘ রবিবার প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদেরকে আশাহত করেছে। আমরা দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিশ^জিৎ রায় ও কলি রানী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাতীয় পতাকা, দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘শিক্ষার্থীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘তুমি নও আমিও নই, রাজাকার রাজাকার’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং রেলগেটে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে, গত রবিবার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না। চাকরি পাবে যতসব রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতিরা? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন।’