রাজশাহী সংবাদদাতা►
রাজশাহী অঞ্চলে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়ায় ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। এ অবস্থায় আম-লিচুর আশানুরূপ উৎপাদন হবে কিনা এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাগান মালিকরা।
বৈশাখী খরতাপে পুড়ছে পদ্মা পাড়ের নগরী রাজশাহী। রোদে তপ্ত কড়াইয়ের মতো তেতে উঠেছে পথঘাট। তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে। আম ও লিচুর বাগান মালিকদের মধ্যে ফলন নিয়ে হাহাকার।
এমনিতেই এবার বাগানে আমের মুকুল এসেছে কম। এর উপর তীব্র দাবদাহে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এ অবস্থায় ফলন কতটুকু পাবেন এ নিয়ে বেশ ভাবনায় পড়েছেন বাগান মালিকরা।
একই অবস্থা লিচুর বাগানগুলোতেও। সেখানেও খরার কারণে ঝরে পড়ছে গুটি। বাগানে বাড়তি পরিচর্যাতেও মিলছে না প্রতিকার।
এ অবস্থায় আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধে বাগানে সকাল ও বিকেলে নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা। গাছে ফলন রাখতে দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।
জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির বাগানে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম ও ৫৩০ হেক্টর জমির বাগানে ৩ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
বৈরী আবহাওয়ার পরও লিচু উৎপাদনে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণ হবে। কিন্তু অনেক গুটি ঝরে পড়ায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে। এতে আমের দাম এবার চড়া থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।