• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:০১
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

“আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভয়ভীতি ও বৈষম্যহীন আত্রাই-রাণীনগর গড়তে চাই”-মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী 

“আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভয়ভীতি ও বৈষম্যহীন আত্রাই-রাণীনগর গড়তে চাই”-মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী 

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী বলেছেন, আগামীতে সুযোগ পেলে আমি মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে খ্যাত আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলাকে একটি ভয়ভীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বৈষম্যহীন এক আদর্শ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জীবনের মায়া ত্যাগ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ২১বছর বয়সে এই লাল সবুজের দেশটাকে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধে ঝাঁপিড়ে পড়েছিলাম। 

এমন বৈষম্য আর স্বজনপ্রীতিতে ভরা আত্রাই-রাণীনগর দেখতে এই দেশকে স্বাধীন করিনি। অনেকবার মৃত্যুকে অনেক কাছে থেকে দেখেছি। চোখের সামনে পাক-বাহিনীর বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত সহযোদ্ধাদের বুকের তাজা রক্তে বাংলার জমিন রক্তিম হতে দেখেছি এমন অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতিতে ভরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা লাল সবুজের বাংলাদেশ গড়তে নয়। কিন্তু সঠিক মানুষের হাতে শাসনভার না থাকার কারণে এখনোও আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাকে বির্নিমাণ করতে পারিনি।

নানা বৈষম্যের কারণে এখনো আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে পারিনি। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি আমাকে একবারের জন্য উন্নয়নের প্রতিক নৌকার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি আরেকবার জীবন বাজি রেখে এই অঞ্চলকে নতুন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ভেদাভেদহীন সাম্যের প্রাচীরে মোড়ানো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এক আদর্শ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চেস্টা করবো যেখানে থাকবে না কোন দখলবাজী, রাহাজানি, হানাহানি আর উন্নয়নের নামে লুটপাট।  

বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের পঞ্চগ্রাম (বড়বড়িয়া, বিজয়কান্দি,খাজুরিয়াপাড়া, গোবিন্দপুর ও চকবলারাম গ্রাম) এলাকাবাসীর আয়োজনে প্রদান করা গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই কথাগুলো বলেন।

এদিন বিকেলে বিজয়কান্দী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পঞ্চগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলীকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুধি সমাজের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা, জাতীয় পতাকা ও স্বর্ণের নৌকা উপহার দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। 

এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ হওয়া সকল সদস্যসহ দেশের তরে জীবন দানকারী সকল শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে জন্মদিনের কেক কাটার পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় গোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম বায়েজিদ নান্নুর সঞ্চালনায় ও আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল বারি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও প্রবীণ শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সিনিয়র সদস্য আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড: পিষুস কুমার সরকার, উপজেলা যুব লীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান উজ্জল, রাজশাহী মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সদস্য ফজলে রাব্বী শুভ, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক নেতা আল্লামা ইকবাল ইংরেজ ও কাজী এমদাদুল হক মিঠুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়