সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
দীর্ঘ প্রত্যাশার পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু করা হয়েছে। আজ রোববার একজন নারীর সিজারের মধ্যে অপারেশন চালু করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ। অপারেশন পরিচালনায় সহযোগিতা করেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুরুভি সুলতানা, তারিকুল ইসলাম, রেজওয়ান আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম, এনামুল হক, নার্স সুপারভাইজার সাবিনা ইয়াসমিনসহ সকল ডাক্তারও নার্সগণ। সিজারিয়ান নারী ও সন্তান বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অপারেশনের জন্য যাবতীয় উপকরণ প্রস্তুত থাকলেও এনেসথেসিয়া ডাক্তার অভাবে অপারেশন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। দিনের পর দিন ওটি বন্ধ থাকার কারনে যাবতীয় উপকরণ প্রায় নষ্ট হতে চলছিল। অবশেষে রোববার উপজেলাবাসির প্রাণির দাবি বাস্তবায়ন হল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, ওটি থাকলেও অনেক উপকরণ ঘাটতি ছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় উপকরণের ঘাটতি পুরুন করে সকলের প্রচেষ্টায় অপারেশন চালু করা হয়েছে। তিনি নিজে এনসথেসিয়া ডাক্তারের ভুমিকা পালন করেছেন।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মহৎ উদ্যোগ এটি। উপজেলার অনেক অসহায় নারী রংপুর গিয়ে সিজার করতে পারে না। সে কারনে অনেকে অকালে মৃত্যু বরণ করে। এখন আর রংপুরে যেতে হবে না। অপারেশন চালু অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, এক সময় দুই জন ডাক্তার দিয়ে চলত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বহুবার সংসদে কথা বলে ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছি। অপারেশন চালুর জন্য এনেসথেসিয়া ডাক্তারের ব্যাপারে গত সংসদ অধিবেশনে কথা বলেছি। অপারেশন চালু করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকলকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপজেলায় সেবারমান একধাপ এগিয়ে গেল।