Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৯-১১-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:২৩
  • ১২৭ বার দেখা হয়েছে

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাড়াটে লোক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাড়াটে লোক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে রোস্টার ভুক্ত চিকিৎসকের পরিবর্তে ভাড়াটে লোক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ভবিষ্যৎতে এমন কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ঘটনায় সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা।

ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় গতরাত (১৮ অক্টোবর) সাড়ে ১০ টার দিকে কয়েকজনের অভিযোগে প্রেক্ষিতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় তাজ উদ্দিন নামে এক যুবক জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি নিজেকে ডিএমএফ শিক্ষার্থী পরিচয় দেন। তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে জরুরি বিভাগে দ্বায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন এবং মাঝে মধ্যেই তিনি এ দ্বায়িত্ব পালন করেন বলে জানান তাজ উদ্দিন।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ওই রাতের রোস্টার ভুক্ত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু হাসান শাহরিয়ার রিফাত হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসকগন নিজেদের সুবিধা মতো রোস্টার নামের তালিকা তৈরি করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রবিউল ইসলাম রংপুরে অবস্থান করেন। গতকাল তিনি কুড়িগ্রামে থাকা সত্ত্বেও বার বার মুঠোফোনে চিলমারীতে আছেন বলে দাবী করেন। পরে তিনি নিজেই কুড়িগ্রামে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে আরএমও না থাকায় বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটে লোক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যহত সহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৮জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এসময় মুঠোফোনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রবিউল ইসলাম জানান, তাজউদ্দীনকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে ডা. রিফাত রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। আরএমও সাহেবকে জরুরি বিভাগে আসতে বললে তিনি চিলমারীতে না থেকেও কোয়াটারে আছেন বলে দাবী করেন। বারবার ডাকা সত্বেও তিনি জরুরি বিভাগে আসেননি। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ডা. রিফাতের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় কিছু সময়ের জন্য তাজ উদ্দিনকে রাখা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন কাজ হবে না। ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, কাল অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad