মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►
গাইবান্ধায় মোহনা একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম এবং মোহনা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম। প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে জম্পেস একটা গানের আসর বসে এই মোহনা সংগঠনের আয়োজনে। বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে এরকম অনুষ্ঠান আর কোথাও নাই। তাইতো গাইবান্ধার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তথা গাইবান্ধাবাসীর জন্য এ এক আলাদা অহংকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মোহনার ২৬২তম সংগীতানুষ্ঠান। এবারের শিল্পী ছিলেন গাইবান্ধার মোহাম্মদ আলী খান এবং নলডাঙ্গার লাহিড়ী পরিবারের অর্পিতা লাহিড়ী। চুনি ইসলামের উপস্থাপনায় আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। অতপর শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। মোহনার পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু এবং সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও লেখক জিয়াউল হক কামাল।
মোহাম্মাদ আলী খান এবং অর্পিতা উভয়েই ৬টি করে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন। মোহাম্মদ আলী খান আধুনিক গান গেয়েছেন-আসে সেই দিন, তুমি কখন এসে, পলাশ ফুটেছে-শিমুল ফুটেছে, আমার সারা দেহ খেয়ো, কতদিন পরে এলে, রসিক আমার মন বান্দিয়া গানগুলি। এদিকে অর্পিতা গেয়েছেন-নজরুল সংগীত প্রিয়া গেছে কবে, হারানো দিনের মতো. আমি রজনী গন্ধা ফুলের মতো, তোমারি পরশে. তখন তোমার একুশ বছর বোধহয়, এই মন তোমাকে দিলাম গানগুলি। শিল্পীদের সাথে যন্ত্র সংগীতে ছিলেন তবলায় মাহমুদ সাগর মহব্বত, কি বোর্ডে এসএম স্বাধীন, গিটারে তানভির মাহতাব বৃত্ত এবং প্যাডে মানিক বর্মন। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের ক্রেস্ট প্রদান করে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন মোহনার সংগঠক দেবদাস রায় এবং জিয়াউর রহমান জিয়া।