• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-২-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:১৫
  • ২৬৪ বার দেখা হয়েছে

বাণিজ্যিকভাবে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ

বাণিজ্যিকভাবে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ

ভবতোষ রায় মনা ►

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ করা হয়েছে। জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষক মুসা মিয়া। ফুল বাজারজাতও শুরু করেছেন তিনি। ফুল চাষ বাড়াতে চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতার কথা জানালেন কৃষি বিভাগ।

চারপাশের সবুজে ঘেরা মাঠের ফাঁকে রংধনুর মতো রং যেন আপন মনে ফুঁটে আছে। টুকটুকে লাল, হলুদ, সাদা, বেগুনি, গোলাপিসহ সাত রঙের বাহারি সৌন্দর্যের ফুলের মেলা। কাছে ভিড়লে সে রং আরও উজ্জ্বল, আরও নজরকাড়া। এমন রং আসলে ভিনদেশি গ্লাডিওলাস ফুলের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউণ্ডেশনের এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় ৭ শতক জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষে স্বপ্ন বুনেছেন মুসা মিয়া। প্রথমবার ফুল চাষ করেই তিনি বাজিমাত করেছেন। মাত্র দু’মাসেরও কম সময়ে গ্লাডিওলাস ফুল চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন এ চাষী। ৭ শতক জমিতে ২ হাজার চারা লাগানসহ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। দু‘একদিনের মধ্যে ফুল বিক্রি শুরু করবেন মুসা মিয়া। উৎপাদন ব্যয় বাদে তার আয় হবে ১০ হাজার টাকা।

জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্লাডিওলাস ফুল চাষ করেছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের ফুল চাষী মুসা মিয়া। তিনি বলেন, গাইবান্ধায় যে কয়টা ফুলের দোকান রয়েছে তাদের কাছে এ ফুলের চাহিদা রয়েছে। প্রথমবার ফুল চাষ করে ব্যাপক গ্ল্য¬াডিওলাস ফুল ফুটেছে। বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। আগামী বছর আরও বেশি জমিতে এ ফুলের চাষ করা হবে।

মা ফুল ঘরের মালিক মোস্তাফা মিয়া বলেন, আগে আমরা যশোর থেকে এ ফুল নিয়ে আসতাম। তাতে আমাদের খরচ বেশি পড়ে যেতো। ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রি করতে হতো। কিন্তু এখন জেলায় এ ফুলের চাষ হওয়াতে হাতের কাছেই গ্লা্াডিওলাস ফুল পাচ্ছি। কম দামে কিনে সাশ্রয়ী দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করাও যাচ্ছে।

সাদুল্লাপুর খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুস আলী মন্ডল জানান, গ্লাডিওলাস ফুল চাষ এই অঞ্চলের চাষীদের সামনে আয়ের এক নতুন সম্ভাবনার ধার খূলে দিয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফুল চাষীদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এসকেএস ফাউণ্ডেশন মাইক্রোফাইন্যান্স পরিচালক ইমরান কবির মাধুকর ডট নিউজকে বলেন, এই অঞ্চলে এ ধরণের ফুল আগে চাষ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেসকল কৃষি কাজ সেইগুলোর মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ ছিলাম। আমরা বিভিন্ন অঞ্চলের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসকেএস ফাউণ্ডেশনের উদ্যেগে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ফুল চাষের জন্য স্বল্প মুনাফায় কৃষকদের লোন দিচ্ছি। পাশাপাশি টেকনিক্যাল সার্পোট দিচ্ছি এবং যাতে মার্কেট লিংক কেচ হয় সেদিকেও আমরা সার্পোট দিয়ে যাচ্ছি। শুধু লোন না আমরা তাদেরকে ছোপ পরিসরে কিন্তু একটা অনুদান দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ফুল চাষের প্রকল্প সফল হওয়ায় আগামীতে বৃহৎ পরিসরে ফুল চাষের সাথে কৃষকদের সম্পৃক করা হবে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়