• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১১-৩-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৮:৫০
  • ৬৫ বার দেখা হয়েছে

নওগাঁয় ক্ষেতে সূর্যমুখী ফুলের হাসি 

নওগাঁয় ক্ষেতে সূর্যমুখী ফুলের হাসি 

নওগাঁ প্রতিনিধি ►

সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে নওগাঁর মাঠগুলোতে। দ্বিতীয়বারের মতো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে সূর্যমুখীর অধিকাংশ গাছেই ফুল ফুটেছে। যার কারণে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে অধিক লাভের আশায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।

 জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় ৭৫হেক্টর জমিতে এই ফসলের চাষ হয়েছে। যা গতবছর ছিলো মাত্র ৬০হেক্টর জমিতে। বর্তমানে একঘেয়েমী ধান চাষ করে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হচ্ছেন না। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না। তাই অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়।

প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপে আধা লিটার তেল উৎপাদন সম্ভব আর প্রতি বিঘা জমিতে ৭মণ থেকে ১০মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০লিটার থেকে ২০০লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজার মূল্য প্রায় ৩০০টাকা। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য এই তেল অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত।  

সূর্যমুখি ফুলচাষী রাণীনগর উপজেলার মধ্যরাজাপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, গত বছর অল্প পরিমাণ জমিতে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে আমি অনেক লাভবান হয়েছি। তাই চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় জমি লিজ নিয়ে মোট ৩বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। 

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। 

জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মনজুরে মাওলা বলেন, নিজেদের উৎপাদিত বিভিন্ন তেল জাতীয় ফসল থেকে অভ্যন্তরীন তেলের চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সফল করতে আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের নানা ভাবে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়