• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-৫-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
  • ২৬৮ বার দেখা হয়েছে

দিনাজপুর হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখা এবার ধান কেটে ঘরে তুলে দিল

দিনাজপুর হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখা এবার ধান কেটে ঘরে তুলে দিল

দিনাজপুর প্রতিনিধি ►

দিনাজপুরে অসহায় দরিদ্র  বিলাস চন্দ্র রায়ের পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে দিনাজপুর সদরের কর্নাই গ্রামে বিলাস চন্দ্র রায়ের দশ শতক জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীরা।

হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ খানের নির্দেশনায় ৩০-৩৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীর একটি টিম। হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ লেখা সমৃদ্ধ টি-শার্ট পরিধান করে মাথায় গামছা বেঁধে বিলাসচন্দ্র রায়ের জমিতে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। 

প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা সারিবদ্ধভাবে বিলাসচন্দ্র রায়ের দশ শতক জমির পাকা ধান নিয়মিত কৃষিশ্রমিকের মতই পাকা ধান কেটে আটি বেঁধে এবং নিজেরাই কাঁধে করে জমির পাশেই মেশিন দ্বারা মাড়াই করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেন।

হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুরসালিন হোসেন বাপ্পি, এক প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীরা এর আগেও কয়েকজন হতদরিদ্র কুষকের ইরি বোরো মৌসুমের পাকা ধান কেটে মাড়াই করার কাজটি সম্পন্ন করেছি। গতকালকে আমরা কোন এক মাধ্যমে জানতে পারি বিলাস চন্দ্র রায়  কাকা শ্রমিকের অভাবে তার পাকা ধান কেটে ঘরে উঠাতে পারছে না। এই খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্রলীগ কর্মীরা একত্রিত হয়ে তার পাকা ধান কেটে মাড়াই করার কাজটি করে দিবেন এমন একটি পরিকল্পনা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা একত্রিত হয়ে তার ধান কেটে মাড়াই কাজটি করতে পেরে গর্বিত মনে হচ্ছে।

ছাত্রলীগ নেতা দিপু রায় বলেন সব সময় ছাত্রলীগ অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেই পাশে থাকার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বিলাসচন্দ্র রায় কাকার পাকা ধান কেটে একটু সহযোগিতা করতে পেরেছি। নিজে নিকট ভালো লাগছে আমাদের এই ভালো কাজের প্রেরণা হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দিক নির্দেশা আমরা এই বাস্তবায়নের কাজটি করে যাচ্ছি।

রিয়াদ খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় আমরা অনেকটাই নেতৃত্বহীন শূন্যতার মধ্যে থাকলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কথা সবসময় আমরা বাস্তবায়ন করি এবং তাদের যেকোনো দিকনির্দেশনা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পালন করে থাকি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চাষিরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় বরাবরই হাবিপ্রবির ছাত্রলীগ কর্মীরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। আজকে বিলাস রায় কাকার ধান কাটে মারাই করার কাজের একটু সহযোগিতা করতে পেরে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ শাখা গর্বিত মনে করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়