• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২২-৪-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:২৫
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

তীব্র তাপদাহে দিনাজপুরে হাঁসফাঁস অবস্থা, বিপাকে শ্রমজীবি মানুষ

তীব্র তাপদাহে দিনাজপুরে হাঁসফাঁস অবস্থা, বিপাকে শ্রমজীবি মানুষ

সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর

দিনাজপুরের উপর দিয়ে কয়েক দিন ধরেই টানা তাপদাহ চলছে। এ তাপদাহে জনজীবন অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে । তাপদাহের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। 

প্রচন্ড তাপের কারণে তৃষ্ণার্ত হড়ে পড়ছে  সাধারণ মানুষ। অনেকেই এই তীব্র রোদের  রাস্তায় বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে ।  তীব্র গরম ও রোদে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ছে পথচারীরা। একটু ঠান্ডা  আখের  ঠান্ডা রসে পিপাসা মিটিয়ে নিচ্ছে। তীব্র সূর্যের তাপে  বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায়  খাল বিল চৌচির হয়ে  যাচ্ছে। 

আজ সোমবার  দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২  ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা  হয়েছে । কয়েক দিনের টানা সূর্যের তীব্র তাপের কারনে  খাল বিল নদী নালা অনেকটাই শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড  গরমে সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে ঘরবন্দি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 

গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড গরমের কারণে বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তার মোড়গুলোতে ভ্রাম্যমাণ তরমুজ, ডাব ও আখের রসের দোকান বসেছে। এসব দোকানে ভিড়ও বেশ। আখের রসের বিক্রি বেড়ে গেছে । 

এ ছাড়া গ্রামগুলোতে গরমে অতিষ্ঠ কিশোররা পুকুরে নেমে দীর্ঘ সময় ধরে ডুব-সাঁতারসহ গোসল করছে। অনেককেই দেখা গেল, গরম থেকে বাঁচতে ছাতা মাথায় চলাচল করতে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর এলাকায়  তরমুজ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা জানান , গত কয়েক দিন থেকে প্রচন্ড গরমের কারণে তরমুজের বিক্রি বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজ  ৫০ টাকা কেজি দরে হলেও পিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শহরের বাহাদুর বাজার এলাকায় আখের রস ব্যবসায়ী  আব্দুল খালেক  জানালেন, এই তাপে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ আখের রস পান করছেন। প্রতি গ্লাসের মূল্য নিচ্ছেন ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা গ্লাস বিক্রি হচ্ছে । গত কয়েকদিন থেকে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকার আখের রস বিক্রি হচ্ছে । আগে তিনি প্রতিদিন হয়েছে  ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার আখের রস।

দিনাজপুর ২৫০ শর্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সোহেল রানা পারভেজ বলেন , প্রচন্ড এই তাপদাহে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। শিশুদের খুবই যত্নে রাখতে হবে যাতে গরমের ঘাম তাদের শরীরে বসে না যায়। এ ছাড়া শারীরিক অসুবিধা মনে হলেই দ্রুত হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে তিনি জানান।

দিনাজপুর আবহাওযা  অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাা তোফাজ্জল হোসেন  জানান, গত কয়েকদিনে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।  এ রকম তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী দুএকদিনের মধ্যে ঝড়ের সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্রা কমার তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়