• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৭-৫-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:৪৩
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

চার ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরলেন শ্রমিকেরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

 চার ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরলেন শ্রমিকেরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

নীলফামারী প্রতিনিধি ►

নীলফামারী জেলা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলকে কেন্দ্র করে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত আন্তঃজেলাসহ দূরপাল্লার সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সিএনজি চলাচল করবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ তুলে নেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিকেরা। এতে প্রায় চার ঘণ্টা পর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড অথরিটির (আরটিএ) সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও আরটিএ সভাপতি পঙ্কজ ঘোষ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় মঙ্গলবার সৈয়দপুর থানার সামনে থেকে নীলফামারী শহরে চলাচলকারী সিএনজিগুলো কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হতে চলাচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আপত্তি জানায় সিএনজি মালিক ও শ্রমিকেরা। আরটিএর সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিএনজিগুলো কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পরিবর্তে সৈয়দপুর বাইপাস মহাসড়কের ওয়াপদা মোড় থেকে নীলফামারী জেলা শহরে চলাচল শুরু করে। এ নিয়ে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর শাখার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলমের মৌখিক নির্দেশে ওয়াপদা মোড় থেকে চলাচল করার কথা জানান। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিএনজি চালকরা আরটিএর সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ও পুলিশ কর্মকর্তার একক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এ সময় তাঁরা সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল, ওয়াপদা মোড়, রাবেয়া মোড়, ডোমার ও ডিমলায় সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরের চার জেলার সঙ্গে দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ভোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েন ফ্লাইটের পাঁচ শতাধিক যাত্রী। 

সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর শাখার সভাপতি শাহিন হোসেনের ভাষ্য, সৈয়দপুর টার্মিনাল থেকে সৈয়দপুর-নীলফামারী রুটে সিএনজি চলাচল করলে বাস-মিনিবাস শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। তাই শহরের বাইরে ওয়াপদা মোড় থেকে চলাচলের অনুমতি চাওয়া হয় প্রশাসনের কাছে। মৌখিক নির্দেশ পেয়ে ওয়াপদা মোড় থেকে চলাচল শুরু করি। এ ছাড়া আরটিএ সভায় আমাদের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, আরটিএর সিদ্ধান্ত অমান্য করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা একক সিদ্ধান্তে ওই সভার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না করে সিএনজি চালকদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। জনগণের স্বার্থে সৈয়দপুর শহর থেকে সৈয়দপুর-চিলাহাটি রুটের বাস স্টপেজ সরিয়ে টার্মিনালে নেওয়া হয়েছে। তেমনি শহরের ভেতর থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ওই রুটে চলাচল করবে বলে আরটিএর সিদ্ধান্ত।

সিএনজি সংগঠনের পক্ষ অবলম্বন করার অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, সিএনজি চালক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে শহরের বাইরে থেকে তাদের চলাচল করতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়