• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১১-২-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:২৭
  • ১৫২ বার দেখা হয়েছে

গোবিন্দগঞ্জে কুয়াশা ও ঠান্ডায় বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত 

গোবিন্দগঞ্জে কুয়াশা ও ঠান্ডায় বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত 

গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ ►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এবছর শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকের বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সময় মত সার সেচ ও পরিচর্যা করার পরেও প্রতিকূল আবহাওয়া কুয়াশা ও ঠান্ডায় বীজতলার চারা নষ্ট বিবর্ণ হয়ে গেছে। চারা নষ্ট হওয়ায় আনেকেই দ্বিতীয়বার বীজতলায় চারা তৈরি করলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম চারা হওয়ায়  বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। 

এবার তীব্র শীত উপেক্ষা করে  উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে একযোগে বোরো চাষ শুরু করে। গত বছর গুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা তাদের চাহিদামত বীজ তলা তৈরি করেন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা আর নানা পরামর্শ কাজে লাগিয়ে চারা মান ছিল বেশ ভাল। কিন্তু শীত ও কুয়াশায় কারণে উপজেলার কামদিয়া, রাজাহার, শাখাহার, গুমানীগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকার বীজ তলার বেশ ক্ষতি সাধন হয়েছে। যে কারণে চারা সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বোরো চাষ ব্যহত হওয়ায় আশংকা করছেন কৃষকরা।

শাখাহার ইউনিয়নের মাটিলা গ্রামের কৃষক সোনা মিয়া ও আলী গ্রামের নিত্য রঞ্জন বলেন, সময় মত সার, সেচ, পরিচর্যা করলেও কনকনে ঠান্ডায় ও কুয়াশায় বোরো বীজতলা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।তার পরেও বীজ বিবর্ণ রং ধারণ করছে। আরার রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। কোন কোন বীজতলার চারা মরে যাছে। তাই আবার নতুন করে বীজতলা তৈরী করতে হলে বোরো চাষ পিছিয়ে পরার আশঙ্কা করছেন তারা। 

তবে সিন্টজিুড়ি এলাকার কৃষক সোলায়মান আলী বলেন, এবারের শীতের তীব্রতা ছিল অসহনীয়। তাই কৃষি বিভাগ শতর্ক করলেও সঠিক ভাবে পরিচর্চা করা যায়নি। এতে চারার বেশ ক্ষতি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে এবছর জেলায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারন করা হয়েছে। সার তেল সহ কৃষি উপকরণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কৃষক জমি রোপনের জন্য ৬ হাজার ২শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলায় চারা তৈরি করেছেন।  শীতের প্রকোপে অনেক কৃষেকের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ, বলেন আদর্শ বীজতলা তৈরি এবং ঠান্ডা ও কুয়াশায় ক্ষতির হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শসহ নানা সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। চারা সংকট ও  বোরো ধানের চাষ ব্যহত হওয়ায় পরিস্থিতি নেই। তার পরেও নির্বিঘœ বোরো আবাদে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে থেকে সব ধরণের পরামর্শ ও সযোগিতা অব্যহত রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়