গাইবান্ধায় ৩০ টাকার মরিচ ১০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গত এক সপ্তাহে আগে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৩০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের ভোক্তারা। বুধবার বিকেলে গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় উর্ধগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।

জানা যায়, রবি মৌসুমের এই সময়ে কৃষকের ক্ষেতে অধিক পরিমান কাঁচা মরিচ গাছে ঝুললেও সেগুলো তোলা হয় কম। চরাঞ্চলের বেশীরভাগ কৃষক শুকনো মরিচ বিক্রি করা লক্ষে গাছে পাকাতে শুরু করছে। একারণে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কম হচ্ছে। এর চাহিদার অপ্রতুল হওয়া হুহু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে ৩০ টাকা কেজি দামের কাঁচা মরিচ একলাফে ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্ষয় ক্ষমতা কমেছে নিম্ন আয়ের মানুষের।       

ফুলছড়ি চরের কৃষক নওয়াব আলী জানানা, তিনি ৪০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। সপ্তাহ খানেক আগে প্রত্যেক দিন কাঁচা মরিচ ছিঁড়ে বিক্রি করতেন। বর্তমানে মরিচ তোলা বন্ধ করেছেন। শুকনো (সুট) মরিচ বিক্রির জন্য ক্ষেতে পাকাচ্ছেন। গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজাদুল ইসলাম ব্যবসায় বলেন, আড়তে বেশী দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ইদানিং দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে।

এ বাজারে মরিচ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যানরিকশা চালক বলেন, একদিক কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। যেন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ধাপেরহাট এলাকার খাজানুর রহমান নামের আরেক কৃষক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল বলেন, চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি ক্ষেতে মরিচ পাকাচ্ছেন কৃষকরা। এজন্য কাচাঁ মরিচের উৎপাদন কম রয়েছে। আর কিছুদিন পর বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।