নিজস্ব প্রতিবেদক ►
বিশ্ব পুতুল নাট্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মঙ্গলবার স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে‘ বাংলাদেশের পুতুল নাট্য শিল্পের নবজাগরণ’ শীর্ষক পুতুল নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাচিক শিল্পী ও জনপ্রিয় উপস্থাপক শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় পুতুল নাট্য প্রদর্শনীতে স্বাগতবক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. আলমগীর কবির।
সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সরোজ দেব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা, জেলা ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহমেদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী সদস্য আ.স.ম রেজাউন্নবী রাজু ও মাহমুদ ইসলাম মহব্বত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
নাছিমা পুতুল নাচ গাইবান্ধার পরিবেশনায় আব্দুল মতিন সরদারের রচনা ও নির্দেশনায় ‘বকুলপুরের স্বাধীনতা’ পুতুল নাট্য পালায় পুতুল সঞ্চালন করেন শ্রী বিষ্ণু চন্দ্র ওমো আনোয়ার হোসেন, কন্ঠে মোঃ জাকির সরদার ও মো.আমির হোসেন। বাদ্যযন্ত্রে হারমোনিয়াম বাদক শ্রী কাজল চন্দ্র, ঢোলক বাদক শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র ও শ্রী মন্টু চন্দ্র, ঝুড়ি বাদক শ্রী নিপেন চন্দ্র, মো.আলিম, মঞ্চ সহায়ক মো.আব্দুল জলিল এবং মালাকর শ্রী নয়ন চন্দ্র।
প্রদর্শনীতে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও সময় বকুলপুওে ঘটে যাওয়া ঘটনা পুতুল নাচের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। বাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ দেখতে আসে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, নারীসহ অনেকেই। উপস্থিত দর্শকরা জানায় আমাদের দাদা-দাদি, বাবা-মায়ের মুখে পুতুল নাচের গল্প শুনেছি, আজকে সরাসরি দেখতে পেয়ে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। এ ধরনের পুতুল নাচ আমরা নিয়মিত দেখতে চাই।