• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৪-৪-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:২৭
  • ১৫২ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধায় কৃষকরা ঘরে তুলবেন ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিকটন ভুট্রা

 গাইবান্ধায় কৃষকরা ঘরে তুলবেন ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিকটন ভুট্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনদিন বেড়েই চলেছে ভুট্রা আবাদ। এ বছরে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলন। তাই রবি মৌসুমে এক লাখ ৯০ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন ভুট্রা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। সম্প্রতি গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকা দেখা গেছে, ভুট্রা ক্ষেতের লাল-সবুজের সমাহার। ধু-ধু বালুচরে এই ক্ষেত থেকে ইতোমধ্যে পরিপক্ক ভুট্রা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ১৭ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষাবাদ হয়েছে। যার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। তবে গত বছর ভুট্রা চাষ হয়েছিল ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে চরাঞ্চলে ছিলো ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছরে চরাঞ্চলে ১১ হাজার  হেক্টর রয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় ভুট্রার আবাদ বেড়েছে অনেকটা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নদী বিদৌত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে, ঘাঘট-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনাসহ অসংখ্য নদ-নদী। এসব নদীর বুকে জেগে উঠেছে শতাধিক বালুচর। এইসব চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ভুট্রার আবাদেই যেন কৃষকের সোনার ফসল। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে ভুট্রা চাষে। শুধু চরাঞ্চলের কৃষকরায় নয়, জেলার বিভিন্ন সমতল ভূমিতে এই আবাদ চোখে পড়ার মতো। এটিই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারি ফসল। চলতি রবি মৌসুমে বপন করা ভুট্রা ক্ষেতে ইতোমধ্যে থোর বেড়িয়ে রঙ বদলাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও এই ফসল ঘরে তোলাও শুরু করছে কৃষকরা।

কামারজানি চরের কৃষক মোতালেব মিয়া জানান, এ বছর বালুভূমিতে পৌনে দুই একর ভুট্রা আবাদ করেছেন। আর কয়েকদিন পর এ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এখান থেকে খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। সাদুল্লাপুর চরাঞ্চলের কৃষক রাজু শেখ বলেন, এ বছর ১ একর জমিতে ভুট্রা আবাদ করে সেই ফসল ঘরে তোলা হচ্ছে। হাইব্রিড সারা-৩০৫৫ জাতের ভুট্রা বিঘাপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ মণ পেয়েছি। এতে বিঘাপ্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে ১ হাজার টাকা মণ দামে শুকনো ভুট্রা বিক্রি হচ্ছে। আরেক কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ভুট্রা চাষ অনেকটা লাভজনক। কিন্তু কৃষি অফিসের প্রণোদনা ও পরামর্শ পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব। কিন্তু সরকারের কোন সুবিধা আজও কপালে জোটেনি।    

উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান জানান, ভূট্রা আবাদ অত্যান্ত লাভজনক। ভুট্রার দানা মানুষের পুষ্টিখাদ্য, গাছ ও সবুজ পাতা গোখাদ্য এবং হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গাইবান্ধা কৃষি সসম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, এ জেলার কৃষকরা ভুট্রা আবাদে আগ্রহী বেশি। তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিব সহযোগিতা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়