• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৬-২-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০১:২৭
  • ১৪৩ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধায় এমফোরসি প্রকল্পের চরাঞ্চলে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র উদ্ধোধন 

গাইবান্ধায় এমফোরসি প্রকল্পের চরাঞ্চলে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র উদ্ধোধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউ-েশনের সহযোগিতায় মেকিং মার্কেটস্ ওয়ার্ক ফর দি চরস্ (এমফোরসি) প্রকল্পের উদ্যোগে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের  দক্ষিন খাটিয়ামারী তালতলা  বাজারে চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন এবং প্রচার ও সংযোগ সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুর  ৩ টায় দক্ষিন খাটিয়ামারী তালতলা বাজারে চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র এবং প্রচার ও সংযোগ সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন ঘোষনা করেন কৃষিবিদ মোঃ বেলাল উদ্দিন, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা ।
ফজলুপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ প্রামানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন এবং প্রচার ও সংযোগ সভায়  বিশেষ অতিথী হিসেবে কৃষিবিদ মোঃ মিন্টু মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফুলছড়ি, মোঃ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা, কৃষি বিপনন বিভাগ, গাইবান্ধা, মোঃ মোঃ শাহাজাহান আলী, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও মোঃ ওলিউর রহমান, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  উদ্ভিদ সংরক্ষন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যও  চরে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, কৃষক প্রচার ও সংযোগ সভার  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং এমফোরসি প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান শেখ, ইন্টারভেনশন স্পেশালিষ্ট, এমফোরসি প্রকল্প,এসকেএস ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইউপি সদস্য মোঃ ছফের উদ্দিন কৃষক পর্যায়ে এমফোরসি প্রকল্প এর কার্যক্রম ও চরে উচ্চ মূল্যোর ফসল সবজী উৎপাদন সম্পর্কে বর্ণনা, চরে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্রে ফসল সংরক্ষনকারী কৃষকের মতামত মোঃ আব্দুল হাই, কৃষক, দক্ষিন খাটিয়ামারী, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, চরে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র  প্রতিষ্টিত করার অভিমত ব্যক্ত করেন, মোঃ মাহবুব হোসাইন, সত্ত্বাধিকারী-চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র, দক্ষিন খাটিয়ামারী তালতলা, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা। চর ফসল ব্যবসায়ীদের মধ্যে মার্কেট লিংকেজ এর সুবিধাসমূহ, এমফোরসি কেন চরাঞ্চলে ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, ফসল সংরক্ষন কেন্দ্রের সূবিধা এবং কৃষকগণ কিভাবে ফসল সংরক্ষন কেন্দ্র থেকে লাভবান হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে চন্দ্রনাথ গুপ্ত সিনিয়র ইন্টারভেনশন অফিসার, এমফোরসি-এসকেএস ফাউন্ডেশন বক্তব্য প্রদান করেন।
কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান শেখ, ইন্টারভেনশন স্পেশালিষ্ট, এমফোরসি-এসকেএস ফাউন্ডেশন এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে কৃষিবিদ মোঃ বেলাল উদ্দিন, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা  বলেন, যখন ফসল সবার ঘরে আসে তখন বাজারে ফসলের দাম কম থাকে,  কিছুদিন ফসল সংরক্ষন করতে পারলেই কৃষকগন বেশী দামে ফসল বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে এবং এক সাথে বিক্রি করলে দামও বেশী পাওয়া যাবে। চরাঞ্চলে এমফোরসির চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা একটি ভাল উদ্যোগ

বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে কৃষিবিদ কৃষিবিদ মোঃ মিন্টু মিয়া,উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফুলছড়ি বলেন, স্বল্প পরিসরে হলেও প্রত্যন্ত চরে এমফোরসির চর ফসল বিপনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে কুষকদের ্উপকার করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে যা প্রশংসার দাবী রাখে এছাড়াও মোঃ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা,কৃষি বিপনন বিভাগ, গাইবান্ধা তাঁর বক্তব্যে সরকারী ভাবে ফসল সংরক্ষন কেন্দ্র তৈরীর করার ব্যাপারে সরকার বিবেচনা করবে এবং কৃষি বিপনন বিভাগ আপনাদের উৎপাদিত পণ্য ভাল দামে বিক্রির করার জন্য সহযোগিতা করবে।

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় এমফোরসি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশ ও বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। এতে সহযোগি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে এসকেএস ফাউ-েশন। প্রকল্পটির কার্যক্রম গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১২৫টি চরাঞ্চলে কাজ করছে। 
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়