• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৯-৪-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:০৭
  • ৭৫ বার দেখা হয়েছে

অনাবৃষ্টি ও খরায় ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি

অনাবৃষ্টি ও খরায় ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি ►

অসময়ে অনাবৃষ্টি, প্রচন্ড তাপদহ এবং খরার কারনে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। সে কারনে চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি বসতবাড়িতে আমের আকাল দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত উপজেলার উপর দিয়ে বৃষ্টি বাদল প্রবাহিত হয়নি। যার কারনে তোষাপাট, শাকসবজি ক্ষেতে রস পম না থাকায় অঙ্কুর এবং চারা গজাচ্ছে না এবং আমবাগানের গুটি ঝড়ে পড়ছে। 

সরকারি ভাবে আমগাছের হিসাব নিকাশ না থাকায় বেসরকারি জরিপ মোতাবেক উপজেলার কমপক্ষে তিন লাখ পরিবারের প্রতিটি বাড়ি আমগাছ  রয়েছ। দীর্ঘ  প্রায় ছয়মাস ধরে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় প্রতিটি আমগাছের আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি আমগাছের গোড়ায় অসংখ্য আমের গুটি পড়ে রয়েছে। 

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মিটু মিয়া জানান, তার বাসায় চারটি হাড়িভাঙ্গা আম গাছ রয়েছে। প্রতিবছর পরিবারের সদস্যরা তাদের চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করত। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টিা ও খরার কারনে আম গাছের প্রায় সবগুলো গুটি ইতিমধ্যে  ঝড়ে পড়ে গেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারনে চলতি মৌসুমে স্থানীয়ভাবে আমের ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের  ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোজারহার আলী জানান, তাঁর জীবন দশায় চৈত্র-বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হয় না, এটা নজির বিহীন। দিন দিন আরও কত কিছু দেখা যাবে সৃষ্টিকর্তা তা ভাল জানেন। তবে এটা আল্লাল তালার গজব। 

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, অনাবৃষ্টি এবং প্রচন্ড তাপদহের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আবাদি জমিতে রস পম না থাকায় অনেক সবজি ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এছাড়া আমগাছ বা বাগানে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝড়ে পড়ছে। তবে বৃষ্টি বাদল হলে এর পরিবর্তন ঘটবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়