
গাইবান্ধায় ৮ দাবিতে এটিআই শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি—ছবি: মাধুকর।
নিজস্ব প্রতিবেদক►
পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ আট দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) করছে গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে একাডেমিক ভবন ও মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করে তারা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি হলো- ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, এছাড়া কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডিএই অধীন থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে হবে, সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন দিতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদেরকে মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান করতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সারাদেশের কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই আন্দোলন। গত ৯ মাস ধরে আমরা ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দাবি পূরণ বা বাস্তবায়নের কোনো আশা না পেয়ে আমরা পরীক্ষা বর্জন করে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছি।
লিয়ন ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, নূর মোহাম্মদ শরিফসহ আরও কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে আমরা পরীক্ষা বর্জন করে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু এসব দাবি পূরণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ শুক্রবার থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। এই পরীক্ষা আন্দোলনের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।