Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৫ ঘন্টা আগে
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের নতুন তালিকা প্রকাশ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের নতুন তালিকা প্রকাশ

মাধুকর ডেস্ক►

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস বা উৎসবগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন বা পালনের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় দিবস ছাড়া সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। তবে রেডিও ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে।

কর্মদিবসে সমাবেশ/শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে তিন দিনের মধ্যে সীমিত থাকবে। সরকারিভাবে গৃহীত কোনো কর্মসূচি যাতে অফিসের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি ছুটির দিনে অথবা অফিস সময়ের পরে আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে।

ক. জাতীয় পর্যায়ে যে যে দিবস বা উত্সবগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন বা পালন করা হবে:

১. শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি।

২. জাতীয় বিমা দিবস: ১ মার্চ।

৩. গণহত্যা দিবস: ২৫ মার্চ।

৪. স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস: ২৬ মার্চ।

৫. মে দিবস: ১ মে।

৬. বৌদ্ধ পূর্ণিমা: মে মাসে

৭. জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস: ৫ আগস্ট।

৮. বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর।

৯. বড়দিন: ২৫ ডিসেম্বর।

১০. বাংলা নববর্ষ: ১ বৈশাখ।

১১. রবীন্দ্রজয়ন্তী: ২৫ বৈশাখ।

১২. নজরুলজয়ন্তী: ১১ জ্যৈষ্ঠ।

১৩. ঈদুল ফিতর: ১ শাওয়াল।

১৪. ঈদুল আজহা: ১০ জিলহজ।

১৫. ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): ১২ রবিউল আওয়াল।

১৬. দুর্গাপূজা: পঞ্জিকা অনুযায়ী।

যে দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যেতে পারে-

খ. যেসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমান সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিকভাবে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বিশেষ সহায়ক, সেসব দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যেতে পারে। উপদেষ্টারা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি উত্স হতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা যেতে পারে। এ ধরনের দিবসগুলো নিচে দেওয়া হলো-

১. জাতীয় সমাজসেবা দিবস: ২ জানুয়ারি।

২. জাতীয় টিকা দিবস: বছরের শুরুতে নির্ধারণযোগ্য।

৩. জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস: ৫ ফেব্রুয়ারি।

৪. জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস: ২৫ ফেব্রুয়ারি।

৫. জাতীয় ভোটার দিবস: ২ মার্চ।

৬. জাতীয় পাট দিবস: ৬ মার্চ।

৭. বিশ্ব আবহাওয়া দিবস: ২৩ মার্চ।

৮. জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস: ৩ এপ্রিল।

৯. আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ও জাতীয় ক্রীড়া দিবস: ৬ এপ্রিল।

১০. বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: ৭ এপ্রিল।

১১. মুজিবনগর দিবস: ১৭ এপ্রিল।

১২. নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: ২৮ মে।

১৩. জাতীয় চা দিবস: ৪ জুন।

১৪. বিশ্ব পরিবেশ দিবস: ৫ জুন।

১৫. মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস: ২৬ জুন।

১৬. বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস: ১১ জুলাই।

১৭. জুলাই শহীদ দিবস: ১৬ জুলাই।

১৮. জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস: ২৩ জুলাই।

১৯. জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস: ৯ আগস্ট।

২০. আন্তর্জাতিক যুব দিবস এবং জাতীয় যুব দিবস: ১২ আগস্ট।

২১. আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস: ৮ সেপ্টেম্বর।

২২. বিশ্ব পর্যটন দিবস: ২৭ সেপ্টেম্বর।

২৩. বিশ্ব নৌ দিবস: সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ।

২৪. জাতীয় উত্পাদনশীলতা দিবস: ২ অক্টোবর।

২৫. বিশ্ব শিক্ষক দিবস: ৫ অক্টোবর।

২৬. শিশু অধিকার দিবস: অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার।

২৭. আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস: ১৩ অক্টোবর।

২৮. বিশ্ব খাদ্য দিবস: ১৬ অক্টোবর।

২৯. জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস : ২০ অক্টোবর।

(প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস এবং জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস একসঙ্গে উদ্‌যাপিত হবে)

৩০. জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস: ২২ অক্টোবর।

৩১. জাতীয় সমবায় দিবস: নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার।

৩২. বিশ্ব এইডস দিবস: ১ ডিসেম্বর।

৩৩. আন্তর্জাতিক ও প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস: ৩ ডিসেম্বর।

৩৪. জাতীয় বস্ত্র দিবস: ৪ ডিসেম্বর।

৩৫. আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস: ৯ ডিসেম্বর।

৩৬. বেগম রোকেয়া দিবস: ৯ ডিসেম্বর।

৩৭. আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস: ১৮ ডিসেম্বর।

যে প্রতীকী দিবস সীমিত কলেবরে পালন করা যেতে পারে-

গ. বিশেষ বিশেষ খাতের প্রতীকী দিবসগুলো সীমিত কলেবরে পালন করা হবে। উপদেষ্টারা এসব দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয় বিবেচনা করবেন। উন্নয়ন খাত হতে এসব দিবস পালনের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। এ ধরনের দিবসগুলো নিচে দেওয়া হল- 

১. বার্ষিক প্রশিক্ষণ দিবস: ২৩ জানুয়ারি।

২. জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস: ২ ফেব্রুয়ারি।

৩. জাতীয় ক্যানসার দিবস: ৪ ফেব্রুয়ারি।

৪. জাতীয় শহীদ সেনা দিবস: ২৫ ফেব্রুয়ারি।

৫. আন্তর্জাতিক নারী অধিকার ও আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস: ৮ মার্চ।

৬. জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস: ১০ মার্চ।

৭. বিশ্ব পানি দিবস: ২২ মার্চ।

৮. বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস: ২৪ মার্চ।

৯. বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস: ২ এপ্রিল।

১০. বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস: ২৬ এপ্রিল।

১১. জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস: ২৮ এপ্রিল।

১২. জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস: ২৮ এপ্রিল।

১৩. বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবস: ৩ মে।

১৪. আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস: ৮ মে।

১৫. বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস: ১৫ মে।

১৬. বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস: ৩১ মে।

১৭. বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস: ৯ জুন।

১৮. বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস: ১৭ জুন।

১৯. আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস: জুলাই মাসের প্রথম শনিবার।

২০. আন্তর্জাতিক ওজোন সংরক্ষণ দিবস: ১৬ সেপ্টেম্বর।

২১. বিশ্ব হার্ট দিবস: সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার।

২২. আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস: ১ অক্টোবর।

২৩. বিশ্ব বসতি দিবস: অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার।

২৪. জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস: ৬ অক্টোবর।

২৫. বিশ্ব ডাক দিবস: ৯ অক্টোবর।

২৬. বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: ১০ অক্টোবর।

২৭. বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস: ১৫ অক্টোবর।

২৮. জাতিসংঘ দিবস: ২০ অক্টোবর।

২৯. জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস: ২ নভেম্বর।

৩০. বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস: ১৪ নভেম্বর।

৩১. প্যালেস্টাইনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সহমর্মিতা দিবস: ২৯ নভেম্বর।

৩২. বিশ্ব মানবাধিকার দিবস: ১০ ডিসেম্বর।

৩৩. জাতীয় জীববৈচিত্র্য দিবস: ২৯ ডিসেম্বর।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad