Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৭ ঘন্টা আগে
  • ১৫২ বার দেখা হয়েছে

সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর►

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রনজু মিয়ার বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক (২২) ও একরামুল হক জিতু (৩১) নামে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযুক্ত রনজু মিয়া উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) সাদুল্লাপুর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেললেন মোজাম্মেল হক ও একরামুল হক জিতু এ অভিযোগ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার বাবা ছকু মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী রনজু মিয়া ও তার ভাই ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আঙ্গুর মিয়া, রাখু মিয়া, মঞ্জু মিয়া, সঞ্জু মিয়া ও মন্টু মিয়া। তারা এই হত্যা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত ২৪ অক্টোবর আমাকে জামুডাঙ্গা এলাকায় একা পেয়ে রনজু মিয়া তার দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা করেন এবং পিটিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় আমি একটি মামলা করেছি। এরপর থেকে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তারপরও পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় তারা প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হক জিতু বলেন, রনজু মিয়াসহ তার ভাইয়েরা একসময় ফ্যাসিস্ট আ’লীগের রাজনীতি করতেন। এখন রনজু মিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। এ কারণে দলের প্রভাব খাটিয়ে তারা মানুষকে নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর কামারপাড়া বাজারে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হই। পথিমধ্যে রনজু মিয়া ও মৃত ওসমান শেখের ছেলে আবুল কাশেম আমার পথরোধ করে মারধরসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং আমার ব্যাগের থাকা ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় অমি একটি মামলা দায়ের করেছি। এরপর থেকে রনজু ও তার লোকজন আমার প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। একারণে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। 

এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খয়বার হোসেন রাজা বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রনজু মিয়া আগে আ’লীগের সদস্য ছিলেন কিনা সেটি জানা নেই। তবে আমাদের দলের প্রভাব খাটিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, মোজাম্মেল হকের দায়ের করা মামলার সকল আসামি জামিনে আছেন এবং একরামুল হক জিতুর দায়ের করা ছিনতাই মামলাটি তদন্ত অব্যাহত আছে। তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

প্রসঙ্গত, মোজাম্মেল হক ওই ইউনিয়নের পুর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত ছকু মিয়ার ছেলে ও একরামুল হক জিতু একই গ্রামের মাহাবুবুর আকন্দের ছেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad