Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১০ ঘন্টা আগে
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ইপিজেড দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারলিপি প্রদান করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আজ (মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ইউনিট সদস্য ও গাইবান্ধা জেলার সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার, জেলা জামায়াতের আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম সরকার, দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আকরাম হোসেন, শিক্ষা অনুরাগী আবুল হোসেন সরকার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম রাজু, শিক্ষক মাওলানা মশিউর রহমান, বড়দহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শেখ ফরিদ, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ ওয়াজিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে নামে পরিচিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২০১৯ সালে বেপজা গভর্নর বোর্ডের ৩৪তম সভায় রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইড়্গু খামারের ১৮৪২ একর জমিতে ১০তম রংপুর প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কারণ রংপুর শহরের অদুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রস্তাবিত ইপিজেডটির অবস্থান। এই ইপিজেড থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ৭০ কিলোমিটার, হিলি স্থল বন্দর ৩২ কিলোমিটার, সম্প্রসারিত বগুড়া বিমানবন্দরের অবস্থান ৩৪ কিলোমিটার দূরে। 

এছাড়াও ইপিজেড থেকে মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ১৭, গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ৩২ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। যে কারণে যোগাযোগ ও মালামাল সরবরাহ এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে এই ইপিজেড অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বেপজা এই স্থান নির্বাচনে গুরুত্ব দিয়েছে। 

এখানে ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে বিভিন্ন ধরণের শিল্প স্থাপন এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার দুয়ার খুলে যাবে। এ দেশের উৎপাদিত পণ্য সাধারণত শতভাগ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এরফলে বিশেষ করে বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপন হওয়ায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে তাদেরসহ প্রায় ২ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া ইপিজেডের মাধ্যমে শিল্পায়ন কর্মসংস্থান এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad