নিজস্ব প্রতিবেদক►
ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩‘র সদস্যরা।
আজ (বুধবার, ২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেরাজ ইসলাম প্রাইম এশিয়া ইউনির্ভাসিটির বিবিএ অধ্যায়নরত। তিনি ঢাকার বনানী (হাজারীবাড়ী) মহাখালী এলাকার নুরুল ইসলাম সর্দারের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ভবানীপুর এলাকার আত্মীয় এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরাজ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, গ্রেপ্তারের পরপরেই তাকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে র্যাব সদস্যরা। এ বিষয়ে র্যাব-১ উত্তরা থেকে ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।
গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে খুন হন পারভেজ।
ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার পর গত রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রোববার রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার হন কামাল হোসেন, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের সবাইকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।