আমিনুল হক, ফুলছড়ি►
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক সেনাসদস্য রুহুল আমিন (৪৭) এর মৃত্যু হয়েছে।
আজ (শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৪টার দিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
একই ঘটনায় তার দুই সহোদর ভাই আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত সেনাসদস্য রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৫) ও রতন মিয়া (৪০) ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী সরকারের পুত্র।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী সরকারের সাথে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মধুর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে বিরোধপূর্ণ বোরো ধানের জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মধু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনছার আলীর তিন ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রুহুল আমিন (৪৭), পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন ও রতন মিয়া।
স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এদিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রুহুল আমিনের মৃত্যুতে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওইদিন হামলার ঘটনার পরপরেই আনছার আলী সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রহিম মধু সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, নিহত সেনাসদস্য রুহুল আমিনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’