আন্তর্জাতিক ডেস্ক►
সিরিয়ার সাবেক বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল শারাকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
সিরিয়ার সামরিক মুখপাত্র কমান্ডার হাসান আবদেল গনির বরাতে সানার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের পাশাপাশি আহমেদ আল শারাকে একটি অস্থায়ী সরকার গঠনের ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে, যে সরকার নতুন একটি সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নেবে।
আল শারা সিরিয়ার বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নেতা। গত মাসে এইচটিএসের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের সামরিক অভিযানে স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন হয়। এরপর এইচটিএস কার্যত সিরিয়ার চালকের আসনের রয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দামেস্কে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আল শারার পাশাপাশি লড়াই করেছিলেন এমন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ডাররা ওই বৈঠকে অংশ নেন। ডিসেম্বরে গঠিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে আহমেদ আল শারাকে প্রেসিডেন্ট করাসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমন আসাদের বাথ পার্টি, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভেঙে দেয়া হয়েছে। আহমেদ একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে; যা মূলত স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এইটিএসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র দল বিলুপ্ত করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
আহমেদ আল শারা সিরিয়ায় একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার করেছেন। তার এই অঙ্গীকারের মধ্যে একটি জাতীয় সম্মেলন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার ও পরবর্তী নির্বাচনের আয়োজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি একটি একক জাতীয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের ওপরও জোর দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন কীভাবে বিচ্ছিন্ন বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে একত্রিত করতে পারবে, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নেতা ও মতাদর্শ রয়েছে।