বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সাঘাটার কৃষকেরা। ছবি: মাধুকর
জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)►
বুকভরা আশা নিয়ে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কৃষকেরা। ঘণ কুয়াশা কেটে যাবার সঙ্গে সঙ্গে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি তৈরি ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এবছর এ উপজেলায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি অফিস।
কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউবা বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। যারা আগাম চারা রোপণ করেছেন তারা সেই জমিতে সেচ দিচ্ছেন। গত বোরো মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া ও ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজারে ধানের ভাল দাম পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন চাষিরা। সেই লাভের বুকভরা আশা নিয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা গেছে- উপজেলার বাউলিয়া, মথরপাড়া, তেনাছিড়া, যাদুরতাইড়, ঝাড়াবর্ষা, বিভিন্ন মৌজায় মাঠে বোরো ধান রোপণ করেছে কৃষকরা।
মথরপাড়া এলাকার কৃষক মনোরঞ্জন সরকার জানান, আমন ঘরে তোলার কিছুদিন পরেই বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণে সময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা তাদের দমাতে পারে না। তাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। তিনি এবার ২ একর জমিতে বোরো রোপন করবেন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। একই এলাকার কৃষক আসাদুল ইসলাম ৩ বিঘা জমিতে বোরোচাষ করছেন। এই দুই কৃষক জানান শ্রমিকের মুজুরি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়াতে বোরোচাষ লোকসান হয়। ফলন ভালো হলে তারা লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের আশা এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান জানান, এ বছরে উপজেলায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বোরো ধানের চারা রোপনে সরকার অনুমোদিত জাতের বীজের চারা, রোপণে সঠিক পদ্ধতির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ধান কৃষকের ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর সাঘাটা উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা করছেন।