Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১১-৯-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৮:৪৭
  • ১৫৭ বার দেখা হয়েছে

মহিমাগঞ্জে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ

মহিমাগঞ্জে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ

মনজুর হাবীব মনজু, মহিমাগঞ্জ►

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ট্রেনের যাত্রাবিরতির আন্দোলনে সর্বস্তরের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নিয়ে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন হয়েছে মহিমাগঞ্জে। রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজধানীর সাথে চলাচলকারী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকে পড়ে। এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়াও জরুরী রোগির স্বাস্থ্যসেবার জন্য কয়েকজন চিকিৎসকও তৈরি রাখা হয় স্টেশনে। এ কারণে সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথের মধ্যে চলাচলকারী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে টেলিফোনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাড়ে ৩ ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। 

ট্রেনযাত্রীদের মাঝে খাবার, পানি সরবরাহ ও চিকিৎসক সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ব্যতিক্রমী এক আন্দোলনে যোগ দেন তারা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌণে ৫টা থেকে রাত ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত দুটি ট্রেন আটকে ছিল। 

রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজধানীর সাথে চলাচলকারী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক মানুষ। এ সময় ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকে পড়ে। তবে এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়াও জরুরী রোগির স্বাস্থ্যসেবার জন্য কয়েকজন চিকিৎসকও তৈরি রাখা হয় স্টেশনে। 

এ সংবাদ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে জনতাকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। এর আগেই বোনারপাড়া রেলওয়ে থানা থেকে একদল রেলপুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে এসে অবস্থান নেন। 

সরেজমিনে মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন।  বিকেল পৌনে ৫টায় মিনিটে ঢাকা থেকে বুড়িমারীগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার সময় জনতা সেটি আটকে দেয়। 

আন্দোলনকারীরা জানান, রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চলখ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ স্টেশনে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে একটি ট্রেনও অতিক্রম করতে দেওয়া হবে না।

এ খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া স্টেশনে পৌঁছে জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি উর্ধতন রেল কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতির খবর এবং স্টেশনের গুরুত্ব ও ট্রেন বিরতির জনদাবি জানিয়ে রেলের টেলিফোনে আলোচনা চালাতে থাকেন। 

এরই মাঝে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এরে সেটিও আটকা পড়ে। দুটি ট্রেন পাশাপাশি আটকে রেখে আন্দোলনকারীরা সেখানে বক্তব্য রাখেন। পরে রাত ৮টা ২১ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আলোচনায় আশ্বাসের প্রেক্ষিতে জনতা অবরোধ  তুলে নেয়।

 প্রথমে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও পরে ট্রেনটি ছেড়ে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এ কারণে পাশের বোনারপাড়া স্টেশনে সান্তাহারগামী পদ্মরাগ কমিউটার ও সোনাতলা স্টেশনে লালমনিরহাটগামী বগুড়া কমিউটার ট্রেন দুটিও সন্ধ্যা থেকে আটকে থাকে।   

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad