সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক শাহজাহান সোহেল, খোরশেদ আলম ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবার এসএসসি পরীায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ইমাম হাসান, আবু হুরাইরা সিয়াম ও তাসনিম আহমেদ সামি এই তিন শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫।
জানা যায়, দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সোহেলের ছেলে ইমাম হাসান দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সম্প্রতি এই পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ইমাম হাসানের মা নিলুফা ইয়াসমিন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে, সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও জাগো ২৪. নেট এর সম্পাদক খোরশেদ আলমের ছেলে আবু হুরাইরা সিয়াম গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। আবু হুরাইরা সিয়ামের মা শরিফা আক্তার একজন গৃহীনি।
অপরদিকে, ইনকিলাবের উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তাসনিম আহমেদ সামি নলডাঙ্গার খামার দশলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এই পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করেছে। তাসনিম আহমেদ সামির মা রেহেনা খাতুন সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
শিক্ষার্থী ইমাম হাসানের বাবা শাহজাহান সোহেল জানান, তার ছেলের ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আগামীতে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে এই কামনাসহ সবার কাছে দোয়া চাইছেন তিনি।
আবু হুরাইরা সিয়াম নামের শিক্ষার্থীর পিতা খোরশেদ আলম বলেন, ছেলের এই সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা শিক্ষক মন্ডলীর। সামনের দিকে একাডেমিক শিক্ষায় ভালো ফলাফল শেষে কর্মসংস্থান হওয়াসহ সে ভবিষ্যতে দেশ-দশের সেবক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে এ জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
শিক্ষার্থী তাসনিম আহমেদ সামির বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার ছেলের সফলতা রায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়েছেন। শিক্ষক মন্ডলীসহ সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসায় ছেলেটি যেন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এই কামনায় করেন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর প্রেসকাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জাকির জানান, ওই তিনজন শিক্ষার্থী অত্যন্ত মেধাবী নম্ন-ভদ্র। এদের মাঝে একাডেমিক শিার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিভাও রয়েছে। এই সাফল্যের জন্য পিতা-মাতার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। ধারাবাহিককতায় আগামীতে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠাসহ যেন নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এই প্রত্যাশা করছেন তিনি।