• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২১-৭-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:০১

মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় রাণীনগরে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তাদির সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় রাণীনগরে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তাদির সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁ প্রতিনিধি ►

নওগাঁর রাণীনগরে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. গোলাম মুক্তাদির খন্দকার। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আবাদপুকুর বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সম্প্রতি “রাণীনগরে এক প্রবাসীর জমি জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ” শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। একটি মহলের ইন্ধনে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু সাংবাদিককে মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ওই সংবাদটি সম্পন্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর এলাকার বাসিন্দা আজিজার রহমান ২০০২ সালে আমার বাবা নুরুল খন্দকারের সাথে কালীগাও মৌজায় কিছু জমি এওয়াজবদল করেন। এওয়াজবদল দলিলে আজিজার রহমান আমার বাবা নুরুল খন্দকারের কাছ থেকে ৪ বিঘা সম্পত্তি লিখে নেয়। কিন্তু আজিজার রহমান আমার বাবা নুরুল খন্দকারকে এওয়াজবদলের মাধ্যমে যে ২ বিঘা জমি লিখে দেয় তা সঠিক নয়। সেই জমির মালিক আজিজার রহমানের ছেলে গোলাম রব্বানীর নামে দলিলকৃত।

সুতরাং বিনিময় প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিলো না। যে কারণে আমি আজিজার রহমানের সঙ্গে এওয়াজবদলকৃত আমার বাবার ৪ বিঘা জমির দখলে আছি। হঠাৎ করে একাডালা ইউনিয়নের টং গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী গোলাম মোস্তফা বেলাল আমার বাবার উক্ত ২ বিঘা জমি নিজের বলে দাবি করে জোবরদখল করতে আসলে আমরা বেলালকে বাধা প্রদান করি। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যে, বানোয়াট ও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশিত করেছে যা সঠিক নয়। দ্রæত এই জমির বিষয়ে সঠিক সমাধানের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান আলী এবং আজিজার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী। 

এ সময় আজিজার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী বলেন, ওই জমির এওয়াজবদলের প্রক্রিয়াটি ছিল ভুল। আমার বাবা আজিজার রহমান আমার দলিলকৃত জমি দিয়ে নুরুল খন্দকারের সঙ্গে জমির এওয়াজবদল করেন। দীর্ঘ সময় ধরে আমার জমিতে আমি দখলে আছি। আর নুরুল খন্দকারের জমিতে দখলে আছে তার ছেলে মুক্তাদির। কিন্তু হটাৎ করে টং গ্রামের প্রবাসী গোলাম মোস্তফা বেলাল ওই জমি তার বলে দাবি করে উল্টো জমিতে খুঁটি মেরে জমি জোবর দখলের চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।

প্রবাসী গোলাম মোস্তফা বেলাল মুঠোফোনে বলেন, ওই দুই বিঘা জমি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ২০০৯ সালে আমি দলিলমূলে কিনেছি। সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসিছ। সম্প্রতি আমি বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসে জমিতে খুঁটি মার ছিলাম। এ সময় মুক্তাদির ও তার লোকজন জোরপূর্বক খুঁটি ভেঙে ফেলে এবং জমি দখলের পায়তারা করাসহ বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু জমি-জমার বিষয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বজাই রেখে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে উভয় পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এরপরেও যদি এনিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে জড়িতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়