নিজস্ব প্রতিবেদক ►
শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাসপ্তমী পূজা। গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৬১৭টি মন্দিরে মন্দিরে মায়েদের উলুধ্বনি, শংঙ্কের ধ্বনি, ঢাকের বাজনায় মহাসপ্তমী পূজা করছেন পুরোহিতরা।
শাস্ত্রমতে, পূজার শুরুটা মহা সপ্তমীতেই। তবে সে অপোয় থাকেননি ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা। ষষ্ঠী থেকে বেজে ওঠেছে পূজার ঘণ্টা। সপ্তমীতে নানা রঙের পোশাক পরে মণ্ডপে মণ্ডপে হাজির হচ্ছেন ভক্তরা। এবার কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই হচ্ছে পূজা উদযাপন।
মাধুকর ডেস্ক►
মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোহিতের মন্ত্র, ধূপ, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে বাজছে শঙ্খনাদ। সব বয়সী বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের হৃদয়ে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর) সূর্য উঠার সাথে সাথেই শুরু হয় মহাসপ্তমীর আনুষ্ঠানিকতা। এই দিনে একটি কলা গাছ গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে, নববধূর মতো নতুন শাড়ি পরানো হয়। দেবীকে কল্পনা করা হয় ন’টি রূপে।
আর এরই মধ্য দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে দেবীর এক চিরন্তন সম্পর্ক স্থাপন হয়। দেবীর পাশে নবপত্রিকা ঘট প্রতিস্থাপন করার পর দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো।
পর্দায় ঢাকা ঘেরাটোপে পুরোহিতের উপস্থিতিতে মহাসপ্তমীর সকালে শুদ্ধাচারে ডান হাতে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবী দুর্গাকে কাজল পরানো হয়। প্রথমে ত্রিনয়ন, তারপর বাম চক্ষু ও শেষে ডান চক্ষু আঁকা হয় মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে। লেলিহান মুদ্রায় মোট ১০৮ বার বীজমন্ত্র জপ করা হয়।