চিলমারী প্রতিনিধি ►
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমান বলেছেন, চিলমারীর মানুষ সহজ সরল প্রকৃতির। আমার চাকরি জীবনে চিলমারীতে ১৩মাস কর্মরত থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের সাথে চলার সুযোগ হয়েছে।
তাদের সাথে কথা বলেই অনেক সমস্যা সমাধান করেছি। তারা অতন্ত্য সরল মনের মানুষ। চাকরী জীবনে এত সহজ সরল লোক কোথাও পাইনি। সোমবার সন্ধ্যায় সদ্য বিদায় নেয়া চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমান কে চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, চিলমারী মডেল থানাতে চাকরী করার জন্য ভাগ্য বা কপাল স্পেশালী তৈরি করে দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কুড়িগ্রাম জেলা কেউ চিনুক আর না চিনুক কিন্তু চিলমারীকে সবাই চিনে। বিশেষ করে যারা পড়ালেখা করেন, যারা বই ঘাটেন তারাই আরকি এই চিলমারী সর্ম্পকে জানে। চিলমারী থানা টা একটি ইতিহাসের অংশ।
তিনি বলেন, এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক নির্মূলে কাজ করেছি। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি। জুয়া খেলা রোধে থানা পুলিশ কাজ করেছে। এখানে যে সব মামলা হয়েছে এর বেশির ভাগই জমিজমা সংক্রান্ত। তবে অনেক ক্ষেত্রে থানায় বসে উভয় পক্ষ কে ডেকে সমাধান করা হয়েছে। আসলে এর কারন হচ্ছে এ এলাকার মানুষদের বুঝাইলে তারা বুঝে। আর দুএকজন মানুষতো থাকবেই আলাদা। সেটা সব জায়গায়।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় চেষ্টা করছি মানুষের উপকার করতে। এতে আমি মানসিক শান্তি পাই। চিলমারী থানায় ওসির বাসভবন প্রায় ২০বছর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় ছিলো। থানায় এসে সেই কাজটি করেছি বাসা টা ঠিক করেছি। আমার পরে যেই আসুক এখন সেই বাসাতে থাকতে পারবে।
আর আমি ব্যক্তিগত স্বার্থে কোন কাজ করি নাই যাতে কোনো মানুষের ক্ষতি হয়। আমি চেষ্টা করেছি রাষ্ট্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কাজ করার। আমার এ কাজে সবথেকে বেশি সহযোগিতা করেছেন এখানকার স্থানীয় সাংবাদিকরা। আমি চিলমারীকে কখনো ভুলব না। এটা আমার চাকরি জীবনে একটি ব্যাতিক্রম জায়গা।
চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাবুর সভাপত্বিতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মামুন অর রশিদ, উপজেলা আইটি টেকনিশিয়ান গোলাম মাহাবুব বিপ্লব, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাওরাত হোসেন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রাফি প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে বদলীজনিত কারণে সদ্য বিদায় নেয়া চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমানের হাতে সস্মাননা স্বারক তুলে দেয়া হয়।