• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৪-৩-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৭:১০
  • ৬২ বার দেখা হয়েছে

৫৩ বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন ‘মধুদা’

৫৩ বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন ‘মধুদা’

মাধুকর ডেস্ক►

মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন মধুসূদন দে। যাকে সবাই ‘মধুদা’ ডাকত। যিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার সাধারণ ‘চা দোকানি’।

রোববার (২৪ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক চতুর্থ ধাপে ১১৮ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে চার দফায় ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করল সরকার। এ পর্বের তালিকায় মধুদাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাবি ছাত্রদের ভূমিকায় মধুদার ছিল অনন্য প্রভাব। তাই পেশাগত পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমীভাবে তাকে দেয়া হয়েছে বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা।

তালিকা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দু-এক জায়গায় ব্যতিক্রম করেছি। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুদা–উনি শিক্ষক, লেখক, গবেষক, শিল্পী নন, উনি এমন একজন ব্যক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই ওনাকে চেনেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক দেশ স্বাধীন সংক্রান্ত যত আন্দোলন হয়েছে, সেখানে ওনার একটা অনন্য ভূমিকা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এ রকম কিছু ব্যক্তি বিশেষ বিবেচনায় গেছে (তালিকায় অন্তর্ভুক্ত)। উনি (মধুদা) সাধারণ একজন চায়ের দোকানদার। তিনি আবার বুদ্ধিজীবী হন কী করে! কিন্তু ওনার যে অবদান, ২৩ বছরে যত নেতাকর্মী দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, উনি তাদের সহযোগিতা করেছেন। বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তালিকা করার ক্ষেত্রে আমরা আর ব্যতিক্রম করিনি। একটাই করেছি, মধুদারটা।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত মধুদার একটা সনদও আছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু তাকে (মধুদা) বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

তালিকায় মধুসূধন দে বা মধুদার বাবার নাম লেখা হয়েছে আদিত্ত্ব চন্দ্র দে, মায়ের নাম যোগমায়া দে। গ্রাম বা মহল্লা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা: রমনা, জেলা: ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান কলাভবনের উত্তর-পূর্বদিকে যে রেস্তোরাঁ, মধুদার নামেই এর নাম হয়েছে। মধুদার সেই রেস্তোরাঁ এখন সবার কাছে ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে পরিচিত।

মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী নানা আন্দোলনে তার ছিল পদচারণা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তান-পর্বে তার রেস্তোরাঁয় অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা হয়েছে। এ কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শত্রুতে পরিণত হন মধুদা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং সেই রাতেই হত্যা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়