শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর ►
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় তাঁর নিজ বাসভবনে প্রায় ২ হাজার মানুষের হাতে শাড়ি-লুঙ্গি ও থ্রিপিস তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, মরহুম সামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমীর অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ এম এ মোবিন সরকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা সোহেল আক্তার, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সিফাত সরকার, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ফিরোজ সরকার, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু, আমিরুজ্জামান, তোফাজ্জল হোসেন লুতু, জসিম উদ্দীন, শাহজাহান আলী মনন ও জাকির হোসেনসহ চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
বিতরণ শেষে মোখছেদুল মোমিন বলেন, আমি সচরাচর দরিদ্র অসহায় মানুষকে সহযোগীতা করি। উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও রেলশ্রমিকলীগ নেতা হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমার সাধ্য অনুযায়ী ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসে ত্রাণ সহায়তা প্রদানসহ সমাজসেবা মুলক নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর সরকারী সুযোগ সুবিধাগুলো যথাযথভাবে প্রাপ্তদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার সাথে সাথে ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। একারণে জনগণের মাঝে আমার প্রতি ভরসা তৈরী হয়েছে। তাই তারা অধিকার নিয়ে বিশেষ দিনগুলো উপলক্ষে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকে। তাদের এই আস্থা ও ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমিও চেষ্টা করি যথাসম্ভব সাহায্য করার।
তিনি বলেন, যদিও আমি খুবই সামান্য সামর্থ রাখি। তবুও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে সকলকে সহযোগীতা করার। আর এসব করি অনানুষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে। এই প্রথম এমন আনুষ্ঠানিক বিতরণ কার্যক্রম। আমার সামর্থ অনুযায়ী আজ ২ হাজার নারী-পুরুষ কে এখানে শাড়ি-লুঙ্গি ও থ্রিপিস দিলাম। আমার বাসার দরজা সকলের জন্য সবসময়ই খোলা। প্রতিদিনই শত শত মানুষ এসে উপহার সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সারাবছরই সাহায্য অব্যাহত রয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাসায় এসে যেন কেউ খালি হাতে না ফিরে যায় সেজন্য সব প্রস্তুতি রেখেছি। তাই আজ যদি কেউ উপহার না পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। সকলকেই দেয়া হবে। এগুলো যাকাত ফেতরার অর্থে দান নয় বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমার ব্যক্তিগত আন্তরিক ঈদ উপহার। যা দিয়ে আমি আনন্দ পাই, তৃপ্তি পাই।
তিনি সবার প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের সহযোগীতা, ভালোবাসা ও দোয়া চেয়ে বলেন, যেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবনে সফলতার সাথে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি। সে লক্ষেই আমার সকল প্রচেষ্টা। আমৃত্যু জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে এবং দল মত বিভেদ ভুলে সকলকে নিয়ে চলতে চাই। শেষে উপস্থিতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।