জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা►
পরিবারে আদার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের লক্ষে চলতি মৌসুমে মাহমুদ হাসান রিপন এমপি নিজ বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে তাঁর আম বাগানে সাথি ফসল হিসেবে ৫ শতাধিক বস্তায় আদা-চাষ শুরু করেছেন ।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান জানান, বারি আদা-১ প্রতি বস্তায় কমপক্ষে এক কেজি আদা উৎপাদন হবে। প্রতি পরিবার যদি ১০/১৫টি করে বস্তায় বারি আদা-১ চাষ করে, তাহলে এ উপজেলায় প্রতি মৌসুমে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত আদা উৎপাদন হবে। যা স্থানীয় আদার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এছাড়া, বস্তায় আদা চাষে বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না যে-কেউ এ পদ্ধতিতে চাষ করতে পারেন।
মাহমুদ হাসান রিপন বস্তায় আদা চাষের বিষয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন। এজন্য এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা উচিত নয় বরং আমরা যে যা পারি তা উৎপাদন করি। আদা যেহেতু বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা জাতীয় ফসল।
রান্নায় আদা একটি প্রয়োজনীয় মসলা হওয়ায় খাবারে আদা ব্যবহার করলে স্বাদ-গন্ধ যেমন বাড়ে, তেমনি খাদ্যের পুষ্টিমানও বেড়ে যায়। এর রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রাচীনকাল থেকেই আদার জনপ্রিয়তা রয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে আদার চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি এর দামও বেশ চড়া। তাই আমি নিজের আম বাগনে সাথি ফসল হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ৫ শতাধিক বস্তায় বারি আদা-১ চাষ শুরু করেছি। আদার স্থানীয় চাহিদা পুরণে সকলকে বাগানে,বাড়ির অঙ্গিনাসহ পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষের আহবান জানন তিনি।