আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►
নওগাঁর রাণীনগরের বিল বেষ্টিত প্রত্যন্ত অঞ্চল হচ্ছে মিরাট ইউনিয়ন। উপজেলা সদরের সঙ্গে মিরাট ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের সংক্ষিপ্ত পথ হচ্ছে হরিশপুর হয়ে বিলের মধ্যদিয়ে যাতায়াতের এই রাস্তাটি। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তাটির বেহাল দশা হলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হরিশপুর, কনৌজ, আতাইকুলাসহ উপজেলা সদর থেকে বিলের মধ্যদিয়ে এই রাস্তাটিই মিরাট যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক। এছাড়া বিলের মধ্য শত শত বিঘা জমিতে ধান উৎপাদিত হওয়ার পর নিজেদের ঘরে ধান নিয়ে যাওয়ারও এটিই একমাত্র পথ। হরিশপুর মোড় থেকে রাস্তাটির দূরত্ব প্রায় ৩কিলোমিটার। কিন্তু হরিশপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা হলেও অবশিষ্ট অংশটুকু দীর্ঘদিন সংস্কার কিংবা স্থায়ী ভাবে মেরামত না করায় বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দ্রুত যদি রাস্তাটির খারাপ অংশটুকু সংস্কার কিংবা মেরামত করা না হয় তাহলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি জমা হলেই রাস্তাটি পানিতে নষ্ট হয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
হরশিপুর গ্রামের বাসিন্দা আহাদ আলী বলেন বিলের জমি থেকে ধান ঘরে নিয়ে আসার এটিই একমাত্র রাস্তা। দীর্ঘদিন রাস্তার মাটির অংশটুকু সংষ্কার কিংবা মেরামত না করায় রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে যাওয়াই দুস্কর। বর্ষা মৌসুমতো আসেইনি। শুধু রাস্তাটির মাটির অংশই নয় পাকা করা অংশটুকুরও অবস্থা বেহাল। এই অঞ্চলের কৃষকদের কথা চিন্তা করে দ্রুত এই রাস্তাটি আধুনিকায়ন করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মিরাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস বলেন মিরাট থেকে উপজেলা সদরসহ অন্যান্য স্থানে যাওয়ার এটিই একমাত্র সংক্ষিপ্ত রাস্তা। কোন রোগীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা জরুরী কোন কাজে উপজেলায় যেতে হলে প্রায় ১৫-২০কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। অথচ এই রাস্তাটির পুরো অংশটুকু আধুনিকায়ন করা হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উপজেলা সদরসহ অন্যান্য স্থানে খুব সহজেই যাতায়াত করা সম্ভব হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন রাস্তাটির বিলের অংশটুকুর দুই পাশে পালাসাইড নির্মাণ করে নতুন করে সংস্কার করতে হবে। তা না হলে বর্ষা মৌসুমে বিলের মধ্যে পানি এলে পানির ধাক্কায় রাস্তাটি আবার নষ্ট হয়ে যাবে। স্থানীয় সাংসদ মহোদয় দ্রুত এই রাস্তাটি আধুনিকমানের করার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। অর্থ বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটির আধুনিকায়ন করার কাজ শুরু করা হবে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংষদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন এই রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন। এই রাস্তাটি উপজেলার দুটি বৃহৎ অঞ্চলটিকে যুক্ত করেছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবী এই রাস্তাটিকে আধুনিকায়ন করার। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরই এই বিল বেষ্টিত রাস্তাটিকে আধুনিকায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি। আমি আশাবাদি অতি দ্রুতই রাস্তাটি বেহাল দশা থেকে মুক্ত হবে আর ওই অঞ্চলের মানুষদের চলাচলের দুর্ভোগও লাঘব হবে।