দিনাজপুর প্রতিনিধি ►
দিনাজপুর বিরলের ভদ্রবাজারের নৈশ্য প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জোনাকু হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুভাষ চন্দ্র রায় ওরফে কাইচালু (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । আজ রবিবার দুপুরে বিরল থানার ওসি রেজাউল হাসান হত্যা মামলা মুল হোতাকে গ্রেফতারের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ।
গ্রেফতারকৃত মুল হত্যাকারী সুভাষ চন্দ্র রায় ওরফে কাইচালু ( ৩৮ ) । সে দিনাজপুর জেলা বিরল থানা ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়নের আজিমপুর.ধনেশ মেম্বার পাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথ রায়ের ছেলে ।
বিরল থানার ওসি বলেন , শনিবার বিকালে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধান আসামী সুভাষ চন্দ্র রায় ওরফে কাইচালু (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারের পর আসামীর তথ্য মোতাবেক এই হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ছুড়িটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় । সুভাষ চন্দ্র রায় কাইচালু আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা হয়।
ওসি আরোও জানান এই হত্যা কান্ড ঘটানোর প্রায় ০১মাস পূর্বেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি কাইচালু তৈরী করে নিজে কাছে রাখে। হত্যার শিকার নৈশ্য প্রহরীর সাথে পূর্বের একাধিক বিষয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সুযোগের অপেক্ষায় থেকে ঘটনার রাতে তার আরো একজন সহযোগীকে সংগে নিয়ে এই হত্যা কান্ডটি সে সংঘটিত করেছে বলে পুলিশ দাবি করেন ।
ওসি আরোও জানান, হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় বিরোধের বিষয় গুলি ও সহযোগী অপর আসামীর নাম এই মুর্হুতে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না । তবে উক্ত আসামী একজন মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও সিচকে চুরির সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
উল্লেখ যে , গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত্রি অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় (ফজরের নামাজের পূর্বে) বিরল থানাধীন ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়নের ভদ্রবাজারের নাইট গার্ড কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জোনাকুকে অজ্ঞাতনামা হত্যাকারী ধারালো অস্ত্রদ্বারা গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে যাদব চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।