• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৭-৮-২০২৩, সময়ঃ রাত ০৭:২০
  • ১১০ বার দেখা হয়েছে

পীরগঞ্জে আত্মীয়দের নিয়ে পাট কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ করার অভিযোগ

পীরগঞ্জে আত্মীয়দের নিয়ে পাট কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ করার অভিযোগ

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি►

রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা পাট কর্মবকর্তার বিরুদ্ধে মা, বোন, ভাগ্নি, বাসার কাজের মেয়েসহ প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণকারী সিংহভাগেই নিকট আত্মীয়দের নিয়ে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় অডিটরিয়াম হলরুমে এ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম মাহবুব আলম বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান,উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে জানা গেছে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অধিন পাট অধিদপ্তর কতৃর্ক বাস্তবায়নাধীন ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়  উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত ৭৫জন পাট চাষী নিয়ে ঐ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।

প্রশিক্ষনে উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না বেগমের নিজের মা, বোন, ভাগ্নি, কাজের মেয়েসহ নিকট আত্মীয়দের পাটচাষী হিসেবে  তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষনেঅংশ গ্রহনের সুযোগ করে দেন। এদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকে ৮’শ ৮০ টাকা, পাট বীজ, ১১ কেজি করে রাসায়নিক সার দেয়া হয়। বিষয়টি  নিয়ে প্রকৃত চাষীরা মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত বছরও উক্ত কর্মকর্তা একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ভবিষ্যতে আর এরকম হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার পেয়েছিলেন। এ বছরও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন।

উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন বলেন, মা’র কি জমি থাকতে পারে না, মা কি পাট চাষ করতে পারে না ? পাট জমি কি দেখবেন ? দেখলে দেখে আসেন ? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকদের প্রতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এদের কোন প্রকার জমি নেই। এমনকি জমি বর্গা নিয়েও কোন আবাদ করে না। মুলত নগদ ৮ৎশ ৮০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এ অপকর্ম করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী বলেন, কর্মকর্তার নিকট আত্মীয় প্রশিক্ষনে যদি থাকে সে যদি পাট চাষি হয় তাহলে আমার কিছু করার নেই। জমি এবং আবাদ যদি না থাকে ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি চুপ থাকেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান ইকবাল বলেন, অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়