• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২১-২-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:০৪
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

নওগাঁর ৫৯ভুয়া পরীক্ষার্থী আটকের ঘটনায় তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

 নওগাঁর ৫৯ভুয়া পরীক্ষার্থী আটকের ঘটনায় তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►

নওগাঁর সাপাহারে ঘটে যাওয়া ৫৯জন ভুয়া পরীক্ষার্থী আটকের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও রেজিষ্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন। 

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪সালের দাখিল পরীক্ষায় নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাযিল মাদ্রাসা ২৯১ নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০ ফেব্রুয়ারী আরবী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলছিলো। এসময় কেন্দ্র সচিব কর্তৃক ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী সনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে সাপাহার শিমূলডাঙা দাখিল মাদ্রাসার ১১ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ জন, বলদিয়াঘাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসার ৮ জন, দেওপাড়া শিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ জন, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসার ১ জন, তুলসিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৪ জন, আন্ধারদীঘি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৭ জনসহ মোট ৮টি মাদ্রাসার ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী সনাক্ত করা হয়। 

বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিনজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য দুইজন সদস্য কর্মকর্তা হলেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (পরীক্ষা) মো. আব্দুস সালাম ও উপমাদ্রাসা পরিদর্শক মো. আকরাম হোসেন। 

উল্লেখ্য যে, সাপাহার সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে চলতি বছর উপজেলার ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৭৭৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। গত মঙ্গলবার (২০ফেব্রুয়ারী) সেখানকার ২০টি কে আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও। এরপর অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মিল না থাকায় ৫৯জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। যেখানে ১৫জন ছাত্র এবং ৪৪জন ছাত্রী ছিলো। পরে তাদের শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ওই ভুয়া শিক্ষার্থীদের ৮টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সচিব নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়