• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৪-২-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:১৩
  • ৬৪ বার দেখা হয়েছে

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় গাইবান্ধায় সাংস্কৃতিক উৎসব

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় গাইবান্ধায় সাংস্কৃতিক উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সকল জনজাতির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ঐকতান’ শীর্ষক গাইবান্ধায় হয়ে গেল সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) মুক্তমঞ্চে এ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

‘এই ভূমির মানুষের সুকৃতি, আদিবাসী-বাঙালি সংস্কৃতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এ উৎসবের আয়োজন করে গাইবান্ধার নাগরিক সংগঠন ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বন।

এতে শতাধিক সাঁওতাল-উড়াওঁসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর  নারী-পুরুষরা অংশগ্রহণ করে।  বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা ও বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। 

জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, নারী নেত্রী অঞ্জলী রানী দেবী, নাজমা বেগম, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, শিক্ষক আহাদুজ্জামান রিমু, অবলম্বন এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. মাহবুব আলম মুকুল, সাঁওতাল নেত্রী মারিয়া মুর্মু, তেরেসা সরেন, ইয়ুথ নেতা সান্তনা রবিদাস প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। 

অবিলম্বে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে আদিবাসী ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হবে জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক যে,  বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় রয়েছে অনেক গীত, ঝুমুর, গল্প; যা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে। এই সকল ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ জরুরি। না হলে ভাষাগুলো গবেষণা ও পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে যাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়