ঈশ্বরদী সংবাদদাতা ►
ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ জানুয়ারী) উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বুধবার রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে আনোয়ার হোসেন যুবলীগের সদস্য বা নেতা না হলেও এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি, রেলের তেল চুরি, রেলের কোয়াটার দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত।
৪ জানুয়ারি রাতে ঈশ্বরদীর পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা এলাকায় শ্যালো মেশিনচালিত ভটভটির সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে গ্লাস ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিরোধ হয়। দুই পরে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিরোধে জড়ায়।
স্থানীয়দের দাবি, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
নিহত মামুনের মামা মনিরুল ইসলাম মনির দাবি, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন নিজ হাতে মামুনকে গুলি করে বীরদর্পে এলাকা ছেড়ে যান। দরিদ্র হওয়ায় মামুনের পরিবারের পে কথা বলার কেউ নেই। তিনি দ্রুত এ মামলার সব আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পরদিন রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে তার ভাই আনোয়ার উদ্দিন, ভাতিজা হৃদয় হোসেন এবং ইব্রাহিমকে নামীয় এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
শুক্রবার পৌর শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন এবং ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।